পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»१• ] ১. প্যাথেয়ের অভাব Sክ”ፃ পাথেয়ের অভাব ।- ঈশ্বরের প্রতি আমারকিরূপ নির্ভরের অভাব ছিল, এবং তিনি কিরূপে আমার অভাব পূরণ করিয়াছিলেন, তাহার সাক্ষ্য দিবার জন্য এই প্রচার-যাত্রার বিশেষ বিবরণ দিতে প্রবৃত্ত হইলাম। : আগ্রা যাইব মনে করিয়া যাত্রার দিন সমাজ-আপিসে গিয়া টাকা চাহিলাম । আপিসের কর্ম্মচারী একেবারে গাছ হইতে পড়িয়া গেলেন ; আমি যে যাইব, আমার যে টাকার প্রয়োজন, সে চিন্তা কাহারও মনে ছিল না ! আমি ধর্ম্ম-প্রচারার্থ সমুদয় ভারতবর্ষ প্রদক্ষিণ করিব বলিয়া নিৰ্দ্ধারণ করা হইয়াছে, আমি কবে যাত্রা করিব তাহারও সংবাদ অগ্রে দিয়াছি, অথচ আমার গাড়িভাড়ার টাকা সংগ্রহ করিয়া রাখা হয় নাই, দেখিয়া আশচর্যাগি) ত হইয়া গেলাম । সমাজের কর্ম্মচারী ভায়াকে বললাম, “বাক্স হা হুড়ে দেখ, কিছু টাকা পাও কি না ; আমি আজ রাত্রে ধাত্রী করব ব’লে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক বন্ধুকে লিখেছি, আর দেরি করতে পারব্ধ না ।” তিনি খুজিয়া পাতিয়া অনট টাকা কয়েক আনা বাহিত্ন করলেন । আমি রেলওয়ে টাইম-টেবিল পরীক্ষা করিয়া দেখি যে তাহাতে ডুমরাওন পর্যন্ত যাওয়া যায়। কর্ম্মচারী বার বার দুইদিন অপেক্ষা করিতে বলিলেন ; কিন্তু কি জানি কেন আমার মন সেজন্য প্রস্তুত হইল ন) ! আমি অনেকবার দেখিয়াছি, প্রচার-যাত্রার জন্য একবার প্রার্থনাপূর্ণ অস্তরে দিন স্থির করিলে তাহা ভাঙ্গা আমার পক্ষে সহজ হয় না, মহাবিয়া ঘটিলেও যাত্রা করিয়া থাকি। এযাত্রাও আর বিলম্ব করিতে পারিলাম না ! বন্ধুদের অনুরোধ, পরিবার পরিজনের অনুরোধ, কিছুতেই আমাকে । নিবৃত্ত করিতে পারিল না। আমি সেই দিনই রাত্রে যাত্রা করিলাম। মনে করিলাম, আমার বন্ধু প্রকাশচন্দ্র রায় বঁকিপুরে আছেন, তঁহার ভবনে দুই একদিন যাপন করিয়া তাহার নিকট হইতে পাথেয় হিসাবে কিছু "ভক্ষা করিয়া লইব । এই ভাবিয়া বাঁকিপুরের টুকট লইয়া যাত্রা করিলাম। বঁকিপুর। “মেজ বউ” রচনা।--পরদিন প্রাতে বঁকিপুর ষ্ট্রেশনে। hah-----