voao শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৮শ পরিঃ সভা-সমিতির সংবাদ পাইলেই উপস্থিত থাকিবার চেষ্টা করিতাম। একবার “আলেগজাণ্ড। sitcast (Alexandra Palace) attr (Ettifies তাহারা এক বিরাট সভা করিলেন । তখন সভ্যগণের, বিশেষতঃ জেনারেল বুথের পুত্রকন্যাগণের ষে উৎসাহ দেখিয়াছিলাম, তাহার বর্ণনা হয় না। আমি উক্ত প্রাসাদে পদাৰ্পণ করিবামাত্র মেয়ের পর মেয়ে আসিয়া আমাকে আক্রমণ করিতে লাগিল। “আপনি কি স্যালভেশনিষ্ট ? আপনি :কি খ্রীষ্টান ?” যেই বলি “না,” আর কোথায় যায় । আমনি চীৎকার, তর্ক বিতর্ক, উপস্থিত হয়। একটা মেয়ের হাত ছাড়াইলে আর একটিীর হাতে পড়ি । মুক্তিফৌজের কার্য্যে স্ত্রীলোকদিগেরই বিশেষ উৎসাহ দেখিলাম। শুনিলাম, জেনারেল বুথের পুত্রবধূ, ব্রামওয়েল বুথের পত্নী, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর লণ্ডনের রাস্তায় বুস্তায় ঘোরেন, এবং বারাঙ্গনাদিগের সহিত তর্ক বিতর্ক করিয়া তাহাদিগকে বিপথ হইতে নিবৃত্ত করিবার চেষ্টা করেন। একদিন আমি ইহঁদের প্রধান কর্ম্মস্থান দেখিবার জন্য ইচ্ছুক হইয়া জেনারেল বুথের বাসভবনে গিয়া উপস্থিত হইলাম। তখন মিসেস বুথ বোধ হয় অসুস্থ ছিলেন । জেনারেল বুথ আসিতে পারিলেন না । তাহার পুত্র ব্রামওয়েল বুথ আমাকে লইয়া তাহদের সাধন-গৃহ দেখাইতে লাগিলেন। আমি যেদিকে চাই, সেইদিকেই দেখি, প্রোচীরের দায়ে লেখা আছে, “ষীশু তোমাদিগকে ডাকিতেছেন,” “ধীশুর চরণে মতি রাখি,” “ষীশুর চরণে প্রার্থনা কর, তিনি তোমাদিগকে বল দিবেন”, ইত্যাদি, ইত্যাদি। সমুদয় প্রাচীর ধীশুর গুণগানে পরিপূর্ণ ; ঈশ্বরের নাম কোথাও নাই। দেখিয়া আমি কিছু বিষঃ হইয়া গেলাম। আমার বিষঃ মুখ দেখিয়া ব্রামওয়েল বুথ জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনাকে বিষন্ন দেখিতেছি কেন ?” আমি বলিলাম, “কেবল ধীশু, যীশু দেখিতেছি, ঈশ্বরের নাম কোথাও নাই, সেই জন্য আমার দুঃখ হইতেছে; আপনার