পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪১৬ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত ' [ ১৯শ পরিঃ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে একটী পুরুষের মুখ দেখা যায় না। যেরূপে তঁহাদের দিন যাইত তাহা এই। বড় কন্যাটীর ধর্ম্মভােব বড় প্রবল । তিনি ভোরে উঠিয়া নানাপ্রকার ধর্ম্মগ্রন্থ বা ভাল ভাল উপদেশপূর্ণ গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃতাংশ পাঠ করিতে থাকেন, এবং নিজে উপাসনা করেন। প্রাতঃকাল হইবামাত্র, যে যে অংশ বড় ভাল লাগিয়াছে তাহা দাগ দিয়া, ছোট ভগিনী ক্যাথরিনের মাথার বালিশের নীচে রাখিয়া, প্রাত:কৃত্যু সমাপনান্তে আপিসের জন্য প্রস্তুত হন। ৭টার সময় প্রান্তরাশের ঘণ্টা পড়ে। তখন গিয়া দেখি, মা, জ্যেষ্ঠ কন্যা, কনিষ্ঠ কন্যা, অপর দুই চারিটি ভদ্রমহিলা, ও চাকরাণীরা উপাসনাস্থলে উপস্থিত। সে উপাসনা নূতন ধরণের। গান হইল না, কেহ মুখে প্রার্থনা করিলেন না, জ্যেষ্ঠা কন্যা কোন ধর্ম্মগ্রন্থ হইতে কিয়দংশ পড়িয়া শুনাইলেন, তৎপরে সকলে মুদ্রিত নেত্রে দশ পািনর মিনিট ঈশ্বর-ধ্যানে নিযুক্ত থাকিলেন। তৎপরে প্রাতরাশ সমাপন হইল। দেখিলাম, ইহীরা নিরামিষাশী পরিবার, টেবিলে মাছ-মাংসের গন্ধও নাই। ශුදී যে দুই ५धकौ অপর। স্ত্রীলোক দেখিলাম, তাঁহাদের विबद्ध छे। মা ও জ্যেষ্ঠা কন্যা নিজ নিজ পরিশ্রমের গুণে যখন বিষয়ের উন্নতি করিতে জগদীশ্বর যখন সম্পদ দিতেছেন, তখন তঁহার কাজে তাহা লাগাইতে তাহাতে হাসপাতালের মত রাখিতে হইবে। তাহাতে