পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচবিত [ ২য় পরিঃ তার সঙ্গে সঙ্গে গুড়ি মারিয়া চলিলাম। সে গিয়া গর্ত্তের মধ্যে প্রবিষ্ট হইল। আমি দ্বারে অপেক্ষা করিয়া রহিলাম। আর আধঘণ্টা গেল। শেষে দেখি সৈন্যদল বাহির হইল। পীপড়ার সারি ; মধ্যে মধ্যে দুইটা করিয়া বলবান অপেক্ষাকৃত দীর্ঘাকৃতি পীপড়া । পরে ভাবিয়াছি, তাহারা সেনাপতি হইবে। প্রকাণ্ড সৈন্যদল ক্রমে আমার মাছির নিকট উপস্থিত ; তখন মহা টানাটানি আরম্ভ হইল। অবশেষে আমি খ্যাংরা কাঠিটি তুলিয়া লইলাম। তখন মাছি লইয়া সকলে গর্তের দিকে দৌড়িল । ইহারা ফিরিতেছে, তখন অপরের আসিতেছে, পথে মুখোমুখী কবিয়া কি সঙ্কেত করিল যে, যাহারা আসিতেছিল তাহারাও ফিরিল । আমি মনে কিরিতাম, ইহারা নিশ্চয় কথা কয়। তখন মাটির নিকটে কান পাতিয়া রহিলাম, তাহদের শব্দ শোনা যায় কি না ? কান পাতিয়া আছি, তখন কেহ শব্দ করিলে বারণ করিতাম, “চুপ কর, চুপ কর, পী পড়েরা কি বলছে শুনি।” ইহা দেখিয়া বাড়ীর লোকেরা হাসাহাসি কবিতেন। এই ব্যাপার প্রায় সর্ব্বদাই ঘটিত । পাখীধরা ও পাখী পোষা।--তৎপরে, পাখী ধরিবার ও পুষিবার জন্য অতিশয় উৎসাহ ছিল। পাখীর বাস হই ন বাচ্ছা চুরি করিয়া আনিতাম, আনিয়া তার মায়ের মত যত্নে ভাহাকে পালন করিতাম । সে-জাতীয় পাখীরা কি খায়, তাদের মায়েব । কিরূপে খাওয়ায়, এ-সকল সংবাদ পাড়ার ডাঙ্কপিটে ছেলেদের কাছে পাইতাম ; সেইরূপ করিয়া দিনের - মধ্যে দশবার করিয়া খাওয়াইতাম। হাড়ির গায়ে ছিদ্র করিয়া, তার মধ্যে কুটিকাটি দিয়া বাসা বাধিয়া তার মধ্যে বাচ্ছা রাখিতাম। রাখিয়া একখানি সরা দিয়া ঢাকিয়া হাড়িটি ঘরের চালে ঝুলাইয়া রাখিতাম, পাছে সাপে খাইয়া যায়। তারপর খেজুর গাছের ডাল কাটিয়া, অগ্রভাগের পাতাগুলি চিরিয়া থ্যাংরার মত করিতাম ; তাহাকে বলে ছাট। সেই ছাট হাতে করিয়া মাঠে মাঠে ঘাস-বনে ফড়িং ধরিতে যাইতাম। ঘাসের