পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

种滤] জননীর ধর্ম্মভাব 8) ved এই তা হল ?” এক নাত্নী বলিয়া উঠিল, ‘ধন্যি ঠাকুরমা তোমার বুদ্ধি ” মা বলিলেন, “বুঝলি না ? কথাটা না শুনলে ব্রতটা পণ্ড হয়, তাই নিয়মটা রক্ষা করা গেল।” বাবা বোধ হয় লোকের মুখে “বাহবা পণ্ডিত মশাই!” এই কথাটা শুনিতে ভাল বাসিতেন ; অন্ততঃ আমার মাতাঠাকুরাণী এইরূপ মনে করিতেন। কারণ, কোনও ক্রিয়া কর্ম্ম করিবার সময় ধর্ম্মে যতদূর চায়, শাস্ত্রে যাহা বলে, তাহা করিয়া বাবা সন্তুষ্ট হইতেন না ; এমন করিয়া করিতে চাহিতেন যাহাতে সকলে ধন্যি-ধন্যি করে। ইহা যে সকল স্থলে প্রশংসাপ্রিয়তা হষ্টতে উৎপন্ন হইত, তাহা নহে ; বাবার সহৃদয়তাই অনেক স্থলে ইহার মূলে থাকিত। লোককে দিতে খাওয়াইতে তিনি ভালবাসিতেন। কিন্তু আমার মনে হয়, তাহার প্রকৃতিতে একটু প্রশংসাsOKBD SBD D DB SS DBD DBDBDS D BD টুকুওঁ সহ্য করিতে । পারিতেন না। এই প্রশংসাপ্রিয়তার গন্ধাটুকু থকাতে আমার বাবার ক্রিয়া-কর্ম্মে মা বড় আস্থা রাখিতেন না। বলিতেন, “তুমি ত ধর্ম্মার্থে তত কর না, যত “ভ্যালারে পণ্ডিত' শোনবার জন্যে কর।” এই লইয়া দুই জনে অনেকবার বিবাদ হইতে দেখিয়াছি। মা ধর্ম্ম কর্ম্মের মধ্যে কোনও প্রকার অভিসন্ধির গন্ধ সহা করিতে পারিতেন না । যাহা কিছু অসৎ, যাহা কিছু অপবিত্র, তাহার প্রতি মাতার এত ঘুণী ছিল যে, শৈশবে আমি এবং আমার ভগিনীগণ পাড়ার বালকবালিকাদের সঙ্গে মিশিয়া কত যে খারাপ বিষয় দেখিতাম, কত খারাপ কথা শুনিতাম, তাহার একটাও বাড়ীতে আনিতে সাহস, করিতাম না । আমি একবার একটা খারাপ কথা বাড়ীতে উচ্চারণ করিয়া যে সাজা। পাইয়াছিলাম, তাহা যথাস্থানে লিখিয়াছি। মা ভালবাসিবার মাময় ফুলের স্থায় কোমল, অথচ শাসনু করিবার সন্ধু লৌহের ন্যায় কঠিন হইতেন।