পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ আচার্য্য কেশবচন্দ্র সেনের সহিত যোগ । ভারত আশ্রমে বাস কালে যোগ বৃদ্ধি। দ্বিতীয়া পত্নী বিরাজমোহিনীর আগমন। নগেন্দ্র বাবুর আগমন। স্ত্রী-স্বাধীনতার আন্দোলন । কেশবচন্দ্রের সহিত ☆やび57 | bro o -br R কেশবচন্দ্র সেনের সহিত যোগ —দীক্ষার পর কেশবচন্দ্র সেনের সহিত আমার ঘনিষ্ঠত হয়। তঁহাতে আমাতে এমন একটা কি ছিল, যাহাতে তিনি আমাকে দেখিলেই প্রীত হইতেন, আমিও তঁহাকে দেখিলে প্রীত হইতাম। আমার সঙ্গে তার হাসি ঠাট্ট রসিকতা চলিত। এক বার এক জন আমাকে বলিয়াছিলেন, “কেশব বাবুর মনের একটা চাবি তোমার কাছে আছে।” তঁহার নিকট আমার মনের ভাল মন্দ কোনও কথা বলিতে সঙ্কোচ বোধ হইত না । অবাধে সকল কথা তার কানো ঢালিতাম। এমন কি, তঁাহার যে কথা আমার মনের সঙ্গে না। মিলিত তাহাও তেঁাহাকে জানাইতে আমার সঙ্কোচ বোধ হইত না । তঁহার সহিত আমার কিরূপ হাসি ঠাট্টা চলিত, তাহার কয়েকটি দৃষ্টান্ত এখানে উল্লেখ করা মন্দ নয়। এক বার হরিনাভি ব্রাহ্মসমাজের বাৰ্ষিক উৎসবে প্রাতঃকালীন উপাসনাতে আচার্য্যের কার্য্য করিবার জন্য আমি তঁহাকে রাজি করি। আমি তখন হরিনাভি স্কুলের হেড মাষ্টার। তিনি প্রত্যুষে কলিকাতা হইতে যাত্রা করিয়া প্রাতে গিয়া আমার বাড়ীতে উপস্থিত হইলেন। আমি তঁহার প্রান্তরাশের জন্য কিছু খাবার প্রস্তুত রাখিয়াছিলাম। আমি জানিতাম, তিনি প্রাতে অপরাপর