পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৭৬,৭৭ ] পীড়ার সময় পিতা মাতার ব্যবহার RSD ( মাতা ঠাকুরাণীর জপ তপ ব্রত নিয়ম উপবাসাদির মাত্রা অসম্ভব রূপ বাড়িয়া গেল। প্রায় প্রতি দিন দেড় মাইল পথ হঁটিয়া গঙ্গাস্নান করিতে তন ; ইষ্টদেবতার চরণে শত শত প্রণাম করিয়া এই অধম পুত্রের জীবন ভিক্ষণ করিতেন। তৎপরে গৃহে ফিরিয়া আমারই রোগ শয্যার পার্শ্বে বসিয়া মাটি দিয়া শিব গড়িয়া পূজাতে প্রবৃত্ত হইতেন। আমি শুইয়া শুইয়া তাহার পূজার নিষ্ঠা দেখিতাম। ওদিকে, বাবা মাকে আমার নিকট রাখিয়া গিয়াছেন বলিয়া গ্রামের জ্ঞাতি কুটুম্ববর্গের মধ্যে কেহ কেহ দলাদলি আরম্ভ করিলেন। বাবা তখন বজের ন্যায় কঠোর হইয়া দাড়াইলেন । “একঘরে করে করুক, আমার কর্ত্তব্য কাজ আমি করেছি,” বলিয়া সে দলাদলির প্রতি ভ্রদক্ষেপও করিলেন না।* এই দলাদলিতে কিছু দিন গেল। এদিকে মা আমার সেবাতে বিব্রত । আমার প্রপিতামহ রামজয় ন্যায়ালঙ্কার মহাশয় অতি সাধু পুরুষ ছিলেন । তিনি মায়ের মন্ত্রদাতা গুরু ছিলেন। তঁর প্রতি আমাদের পরিবারস্থ সকলের ও জ্ঞাতি কুটুম্বের প্রগাঢ় ভক্তি ছিল। তার লাঠি, তঁর জপমালা, তার যোগপট্ট, প্রভৃতি যে-কিছু চিহ্ন ঘরে ছিল, সে-সমুদয়ের প্রতি মার এত ভক্তি যে বাড়ীর কাহারও গুরুতর পীড়া হইলে, সেগুলি তাহার রোগ শয্যাতে স্থাপন করা হইত, রোগমুক্তি না হইলে আন্তরিত করা হইত না । সেই নিয়মানুসারে জননী দেবী ন্যায়ালঙ্কার মহাশয়ের লাঠি মালা প্রভৃতি আনিয়া আমার শয্যাতে স্থাপন করিয়াছিলেন। তিন মাস সেইরূপ রহিল, অন্তরিত করিতে দিলেন না ; আমার পীড়ার উপশম হইলে তবে তুলিয়া লওয়া হইল। বিশ্বাসী जुङ्ङg খোদাই -এই পীড়ার সময় আমার জনক জননীর যেমন আশ্চর্য্য সন্তানবাৎসল্য দেখিলাম, তেমনি আমার বিশ্বাসী অনুগত

જffભછે cqશ