পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>va tY ] সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের মন্দিয় নির্ম্মাণের চেষ্টা గ్రీని করিবার সময় শিক্ষার জন্য একটি বন্ধর তত্ত্বাবধানে তাহাকে কলিকাতায় রাখিয়া গিয়াছিলাম। ঐ সংবাদ পাইয়া লক্ষ্মৌ এর কাজ বন্ধ করিতে হইল, ও কলিকাতা যাত্রা করিতে হইল। আসিবার সময় মুঙ্গের হইতে প্রসন্নময়ীকে সঙ্গে লইয়া আসিলাম, বিরাজমোহিনী অন্য সন্তানগণের ভার লইয়া মুঙ্গেরেই থাকিলেন। কলিকাতায় আসিয়া সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের মন্দির নির্ম্মাণের চেষ্টা -আমি কলিকাতাতে ফিরিয়া তত্ত্বকৌমুদীর সম্পাদকতা, উপাসক মণ্ডলীর আচার্য্যের কার্য্য, এই সকল লইয়া ব্যস্ত রহিলাম। ভারতবর্ষীয় ব্রহ্মমন্দির ত্যাগ করার পর তৎপাশ্ববর্ত্তী ডাক্তার উপেন্দ্রনাথ বসুর ভবনে কিছু দিন আমাদের উপাসনা চলে। উপেন্দ্র বাবু এই সঙ্কট কালে আমাদের সহায় হইয় তাহার ঠাকুর দালানটি আমাদের ব্যবহারের জন্য দিয়া মহোপকার করিয়াছিলেন। কিছু দিন পরেই ৪৫নং বেনিয়াটোলা লেনে একটি সুপ্রশস্ত ঘর ভাড়া করিয়া সেখানে আমাদের সাপ্তাহিক উপাসনা তুলিয়া আনা হয়। এই সময়ে সেইখানেই উপাসনার কার্য্য চলিতেছিল। আমি আসিয়া দেখিলাম, বন্ধুগণ ॥২১১নং কর্ণওয়ালিস স্ত্রীটে এক খণ্ড ভূমি নিৰ্দ্ধারণ করিয়া, সেখানে উপাসনা মন্দির। নির্ম্মাণ করিবার উদ্দেশ্যে তাহা ক্রয় করিবার ইচ্ছা করিতেছেন, এবং সেজন্য প্রত্যেকে নিজের এক মাসের আয় দিবেন বলিতেছেন। আমি সে কার্য্যে মহা উৎসাহী হইলাম। শুনিলাম, অর্থ সাহায্যের জন্য মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের নিকটেও এক দরখাস্ত গিয়াছে, তাহাতে আনন্দমোহন বাবুর, আমার, দুৰ্গামোহন বাবুর, গুরুচরণ মহলানবিশ মহাশয়ের, ও অপর কাহারও কাহারও নাম আছে ; মহৰ্ষি তঁাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়কে খবর লাইতে বলিয়াছেন, জমির দাম কত, মন্দির নির্ম্মাণের ব্যয় কত হইবে, ট্ৰাষ্ট্ৰী কারা নিযুক্ত হইয়াছেন, ইত্যাদি। বোধ হইল যেন, তিনি ট্রষ্টী