পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণ 3 ዓ তিনি আমাকে বললেন-ওয়েল মথর কুণ্ড, ভেরি গুড থিং (? তারপর তঁরা চলে গেলেন । এই বকফুল ভাজা খাইয়েই আমি আমার স্কুলের জন্যে সাহায্য আদায় করেছিলুম।” আমার পড়াশুনার কথা বলতে গিয়ে এতক্ষণ আমাদের গ্রামের ইংরাজী স্কুল কি রকমে আরম্ভ হ'ল তারই বিবরণ বললুম। এখন আমার বিদ্যারম্ভের কথা दलि । আমি যখন প্রথম পড়াশুনা আরম্ভ করি, তখন আমাদের গ্রামে একটা উচ্চgBB DBS BDB D ttBBDBS SDuD DBBD DDBDBDS DBBDB Duu uDuBD পাঠশালা ছিল। এসব ছাড়া ৪৷৫টি টোল ছিল। আমার বড়দাদা ত বাঙ্গলা স্কুলেই পড়েন নি। তঁর শিক্ষারম্ভই ইংরাজী স্কুলে। মেজদাদা বাংলা ছাত্রবৃত্তির পাশ করে ইংরাজী স্কুলে ভর্তি হ’ন। আমার যখন স্কুলে পড়বার কথা হ’ল, তখন বড়দাদ ও মেজদাদার পরামর্শে জ্যাঠামশাই আমাকে পাঠশালায় না দিয়ে একেবারে বাংলা স্কুলে ভর্তি করে দিলেন। সে সময় বাংলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন স্বৰ্গীয় হরিনাথ মজুমদার। তিনিই পরে সাধক কাঙ্গাল হরিনাথ নামে দেশবিখ্যাত হয়েছিলেন । বাংলা স্কুলের নিম্ন শ্রেণীতে কি পড়েছিলাম না। পড়েছিলাম, তা আমার মোটেই মনে নেই। আমার মনে পড়ে, যখন তৃতীয় শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণীতে উঠলুম। কারণ সেই সময় থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রমোশন পাওয়া পর্য্যন্ত আমাকে যে লাঞ্ছনা ও নির্যাত ন ভোগ করতে হয়েছিল, তা এখনও আমার মনে আছে। বাংলা সাহিত্য, ইতিহাস, ভূগোল, এই তিন বিষয়ে আমি ক্লাসের মধুে সর্বশ্রেষ্ঠ ছাত্র ছিলুম। কিন্তু গোল বঁাধত অঙ্কের বেলায় । অঙ্কশাস্ত্র আমার কাছে বাঘের চেয়েও বেশী ভয়ের ব্যাপার ছিল । সে তিন বছরের মধ্যে এমন দিন যায় নি, যে দিন অঙ্কের মাষ্টারের কাছ থেকে বেতের মাৱ বা কানমলা না থেয়েছি। এত নির্যাতনেও কিন্তু আমাদের অঙ্কের মাষ্টার স্বৰ্গীয় কেদারনাথ জোয়ারদার আমার মাথার মধ্যে পাটিগণিত বা জ্যামিতি প্রবেশ করাতে পারেন নি। আমি যে সময়ের কথা-বলছি, তখন পূজনীয় হরিনাথ মজুমদার মহাশয় বাংলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকতার ভার সুযোগ্য ছাত্র নর্মাল স্কুলের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ পুলিনচন্দ্র সিংহ মহাশয়ের ওপর দিয়ে নিজে বালিকা বিদ্যালয়ের উন্নতির চেষ্টায় বেশী মনোযোগ দিয়েছিলেন। তা হ’লেও বাংলাবিদ্যালয়ের কর্তৃত্ব ভার তীর ওপরেই ছিল। বিদ্যালয়ের ছাত্রদের বাৰ্ষিক পরীক্ষার তিনিই সাহিত্যের পরীক্ষক হতেন। আমি সে সব পরীক্ষায় সাহিত্যে সকলের