ছেন, তিনিই স্বীকার করিবেন—বালিকা সুন্দরী। এরূপ রূপে স্বর্গীয় আভা আছে, ইহা মানবে কখনও সম্ভবে না? অবশ্যই কোন দেবকন্যা শাপভ্রষ্ট হইয়া পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন; ইহাঁর নাম হরিদাসী; বালিকা একচী নিভৃত কক্ষে বসিয়া একখানি পুস্তক পাঠ করিতেছেন। অন্য একটা বৃদ্ধা, বয়ঃক্রম ৬০ বৎসর হইবে, কৃষ্ণবর্ণ, চর্ম্ম ঝুলিয়া পড়িয়াছে, চক্ষু কোটরে প্রবিষ্ট হইয়াছে, শ্রবণশক্তি একবারে অন্তর্হিত হইয়াছে। উহাকে দেখিয়া কোন নীচবংশসম্ভূত বলিয়া বোধ হয়। উহার নাম আহ্লাদী—সে গৃহকার্য্যে ব্যস্ত আছ।
অপরটী প্রবীণ বিধবা—বয়ঃক্রম ৫০ বৎসরের ন্যূন হইবে না, শ্যামবর্ণা, স্থূলকলেবরা; ম্রিয়মাণ্য, ইহার মুখ দেখিয়াই বোধ হয় যেন উহার হৃদয় চিন্তায় পরিপূর্ণ। ইহার নাম তিনকড়ি। তিনকড়ি ভোজন করিতে বসিয়াছেন।
গাড়ী থামিলে একজন সইস আসিয়া দ্বার খুলিয়া দিল, একজন শ্বেতকায় পুরুষ ও দুইটি এদেশীয় যুবক বাহির হইয়া দ্রুতপাদবিক্ষেপে গৃহে প্রবেশ করিলেন। তিনকড়ি যে স্থানে উপবিষ্ট হইয়া আহার করিতেছিল, সেই স্থানে উপনীত হইলে যুবকদ্বয় তিনকড়ির প্রতি লক্ষ্য করতঃ ঐ শ্বেতকায় পুরুষকে বলিলেন “এই তিনকড়ি”। এই কথা শ্রবণ মাত্র শ্বেতকায় মহাপুরুষ