পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

धावन श्नि-शटल SSq,6k: মেয়ের মত না ? বলিয়াই অতসী এক প্রকার কুঠা-ও-লকজামিশ্রিত হাসি৷ হাসিল। হাজারি বলিল-তুমি আর জন্মে। আমার মা ছিলে তাই দয়ার কথা বলচি । নইলে কি সন্তানের ওপর এত মমতা হয় ? তুমি সখে থাকো, রাজরাণী হও” -এই আশীবাদ করাচি। আমি তোমার গরীব কাকা, এর বেশী আর কি করতে পারি। অতসী, আগাইয়া আসিয়া হঠাৎ নীচু হইয়া হাজারির পায়ের ধলা লইয়া প্রণাম করিল এবং আর একটুও না দাঁড়াইয়া তৎক্ষণাৎ বাড়ীর মধ্যে চলিয়া গৈল । রাত্রে সারারান্ত্রি হাজারি ঘামাইতে পারিল না। অতসীর মত বড় ঘরের সন্দরী মেয়ের স্নেহ আদায় করার মধ্যে একটা নেশা আছে, হাজারিকে সে নেশায় পাইয়া বসিল। তাহার জীবনে এ এক অদ্ভুত ঘটনা! সকলে উঠিয়া সে রাণাঘাটে রওনা হইল। বেশী নয়, পাঁচ-ছ’ মাইল রাস্তা, হাঁটিয়া বেলা সাড়ে আটটার সময় স্টেশনের নিকটে সেগান-বনে গিয়া পেটািছল। রেল-বাজারের মধ্যে ঢাকিতেই তাহার ইচ্ছা হইল একবার তাহার পরাতন কমপিথানে উকি মারিয়া দেখিয়া যায়। আজ প্রায় পাঁচ মাস সে রাণাঘাট ছাড়া। দরি হইতে বেচু চক্লবতীর হোটেলের সাইনবোড দেখিয়া তাহার মন উত্তেজনায় ও কোঁতাহলে পণ্য হইয়া উঠিল। গত ছয় বৎসরের কত সমিতি জড়ানো আছে ওই টিনের চালওয়াল ঘরখানার সঙ্গে। হোটেলের গদিঘরে ঢকিয়াই প্রথমে সে বেচু চক্কত্তির সম্মখে পড়িয়া গেল। বেলা প্রায় সাড়ে দশটা, খরিদ্দার আসিতে আরম্ভ করিয়াছে, বেচু। চক্কত্তি পরানো দিনের মত গদিঘরে তত্ত্বাপোশের উপর হাতবাক্সের সামনে বসিয়া তামাক খাইতেছেন। হাজারি প্রণাম করিয়া দাঁড়াইতেই তিনি বলিলেন-আরে এই যে হাজারি ঠাকুর! কি মনে করে? কোথায় আছে আজকাল ? ভাল আছ বেশ ?