শোবেন এবং অন্যান্য দরকারি কাজ সারতে হলে বাইরে যাবেন। চারপাইএর কাছেই একটি সন্দলও ছিল। সন্দলের কাছে না বসে চারপাইএর ওপর বসলাম এবং লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম।
বেলা দশটার সময় ঘুম ভাঙল। চটপট প্রাতকৃত্য সেরে ঠাণ্ডা জলে হাত মুখ ধুয়ে আবার খাটে এসে বসলাম এবং আরাম করে একটি সিগারেট ধরলাম। ইত্যবসরে মোল্লা কএকজন ছাত্রকে নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। সবাইকে নমস্কার করলাম। তঁরা বিনিময়ে “আদাব” করলেন। এখানে স্তারেমশে শব্দের খুব কম ব্যবহারই দেখলাম। ছাত্রদের মাঝে একজন হিন্দুও ছিলেন। তার মাথায় ছিল বোখারার ফেজ। অন্যান্যদের মাথায় ছিল পাগড়ি। ছোট ছোট মাসাদের কাপড়ের পাগড়িগুলি দেখাচ্ছিল বেশ। যে কজন যুবক এসেছিলেন তাদের প্রত্যেকেরই শরীর নিখুঁত এবং নীরোগ। এরূপ নিখুঁত এবং নীরোগ দেহ আফগানিস্থানে কমই দেখা যায়। তাঁরা ছিলেন গম্ভীর এবং স্বল্পভাষী। তাঁদের ললাটে এবং মুখের ওপর চিন্তার রেখা পড়েছিল। চিস্তাশীলের মুখের ভংগিই অন্যরূপ। চিন্তারেখাযুক্ত মুখ আমার কাছে প্রিয়। আমি সেই প্রিয়দর্শন মুখগুলি দুচোখ ভরে দেখছিলাম। মোল্লা তাদের প্রত্যেককে আমার সংগে পরিচয় করিয়ে দিলেন, তাঁর নিজের ছেলেটিও বাদ পড়েনি। তঁরা প্রত্যেকেই মেডিকেল স্কুলের ছাত্র।
আলাপ পরিচয় হবার পর আমরা সকলেই দুইখানা করে পরোটা এবং চা খেলাম। তারপর কথা আরম্ভ হল। কিন্তু কথা বলতে আমার ভাল লাগছিল। না। সিগারেট ফুরিয়ে গিয়েছিল; সিগারেট না হলে যেন কি একটা অভাব অনুভব হয়। একজন ছাত্র আমার অবস্থাটা বুঝে নিকটস্থ একটা দোকান হতে এক প্যাকেট সিগারেট এনে দিলেন, আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে ধাতস্থ হলাম। এখানেও আমিনা এবং মামুদের গল্পের পুনরাবৃত্তি হল। তারপর শুরু হল চীনের ডাকাতদের তথা কমিউনিস্টদের কথা। চীনের কমিউনিস্টরা ডাকাত