কাবুল
এই সেই কাবুল। অনেক ঐতিহাসিক তথ্য কাবুলের সংগে জড়িত আছে। অনেক দূরে দাঁড়িয়ে কাবুল সহরের দৃশ্য দেখলাম। পাহাড়ের উপর মস্ত বড় একটি দুর্গ কে তৈরী করেছিল জানিবার ইচ্ছা ছিল না। তবুও দুর্গটা দেখলাম ভাল করে। ভারতের যে কোন দুর্গ কাবুল দুৰ্গ হতে বড় এবং সংরক্ষিত; তবু আফগান জাতি একক ভারতের কতক অংশ বিজয় করে ভারত শাসন করেছিল। সতর জন পাঠান বঙ্গদেশ জয় করেছিল। এত সাহস, এত শক্তি তারা কোথা হতে পেয়েছিল? এই প্রশ্ন আপনা হতেই মনে আসে এবং এর সুমীমাংসা না হলে রহস্যে পরিণত হয়। রহস্যের ধার ধারতাম না। সেজন্য রহস্য বলে কিছু আমার কাছে ছিল না।
অনেকক্ষন দাঁড়ালাম, তারপর আর ইচ্ছা হল না। সহরটার বাইরের দিকে চেয়ে থাকি। ইচ্ছা হল সহরটার ভেতর দিকটাই দেখি। সর্বপ্রথমই এলাম কাবুল হোটেলের কাছে। সাইকেলটা দাঁড় করিয়ে উপরে উঠলাম। আনন্দ করে এক কাপ ইংলিশ চা খেয়ে শরীরটার অবসাদ দূর করে বেড়িয়ে পড়লাম সহর দেখতে।
সহর মামুলী ধরণের গড়া। যে কোন পাঞ্জাবী-সহর কাবুল সহর হতে বড়। ঘরগুলিও পাঞ্জাবী ধরণে তৈরী। বিশেষত্ব কিছুই অনুভব করলাম না-অন্তত বাড়ি ঘরের দিক থেকে। কোথাও নৃত্যগীতের অথবা সিনেমা হাউস ছিল না। নৃত্যগীত অথবা সিনেমা দেখা নাকি ধর্মবিরুদ্ধ কাজ। আমাদের দেশে যারা নৃত্যগীত অথবা সিনেমা দেখা পছন্দ করেন না তাদের পক্ষে কাবুল সহরে যেয়ে বসবাস করাই ভাল কিন্তু চায়ের দোকান সর্বত্র। চায়ের দোকানে আবার জাতিবিচার নেই। সবাই প্রবেশ করতে পারে এমন কি মেথর পর্যন্ত!