[ ২e১ ] ষে, অখণ্ডনীয়, ও অস্মদেশীয় স্মার্তদিগের বেদবহু বহু মাননীয় এবং প্রমাণ বচন দ্বারা সমর্থিত মহামহোপাধ্যায় স্বার্ত্তভট্টাচার্য্যের মত ব্যাখ্যা পূর্বক বর্ণন করিয়াছেন তাহাও উদ্ধত করা যাইতেছে। যথা “স্মার্ত্তাস্তু কর্তৃত্বমেব ষষ্ঠ্যর্থঃ তেন শূদ্রেণ পদ্ধস্যৈব দানাদিনিষেধো নতু শূদ্রস্বামিকস্য ব্রাহ্মণ দ্বারা পঙ্কস্তাপি অতঃ শূদ্রস্বামিকস্তাপি ব্রাহ্মণেন পঙ্কস্ত চরোরম্নদেশ বৃষোৎসর্গাদে হবনীয়তা দেবাচর্চাদেী চ নৈবেদ্যবিধয়া দেয়ত চেত্যাহুঃ । ইতি শ্রীকৃষ্ণতর্কালঙ্কারলিখনং । স্বার্ত্তভট্টাচার্য্যের বলেন যে, “ আমং শূদ্রস্ত পঙ্কণন্নং ” এই বচনস্থ শূদ্রস্ত পদে ষষ্ঠী বিভক্তির কর্তৃত্বই অর্থ, ইহাতে শূদ্র কর্তৃক পাক করা অন্নেরই দানাদি নিষেধ, নতুবা শূদ্র স্বামিক দ্রব্য ব্রাহ্মণ দ্বার। পাক করা হইলে তাহার দণনগদি নিষেধ নহে। অতএব ব্রাহ্মণ দ্বারা পাক করা শূদ্রস্বামিক চৰু এবং অন্ন প্রভৃতি দ্রব্য রবোৎসর্গ প্রভৃতি সকল কার্যে ছবনীয় দ্রব্য বিধায় এবং দেবপূজাপ্রভৃতি সকল কার্যে নৈবেছ বিধায় দান করা বিধেয় হয় । ইহাতে সকলে বিবেচনা করিয়া দেখুন যে, তাহদের বছমান্য স্মার্তভট্টাচার্য্য শূদ্রের পক্ষে ব্রাহ্মণ দ্বারা পাক করা অন্ন দেবতাকে যে দিতে কহিয়াছেন তাহাই শ্রীকৃষ্ণতর্কলঙ্কার, নিজ কৃত শ্রাদ্ধবিবেকটীকা বিবেকবিরতিতে সুস্পষ্ট রূপ লিখিয়া ব্যক্ত করিয়া দিয়াছেন। ইহাতে স্মার্ভভট্টাচার্য্যের লিখিত ঐ চূর্ণকের স্বকপোলকল্পিত অসার ও অপদার্থ তাৎপর্য্য ব্যাখা কোনও রূপেই গ্রাহ হইতে পারে না । আর প্রতিবাদী মহাশয়দের সঙ্গোপিত ঐ পরোক্ত পাঠের প্রকাশ হওয়াতে নিম্নলিখিত তাহদের সমুদয় o ミ○
