পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার আত্মকথা

তারই গলায় কে আমায় ডাকছিল। আমার খুড়তুত বোন্ নির্ম্মলাদি’ গিয়ে দরজা খুলে দেখলো কেউ কোথাও নেই, তার কয়েক মিনিট পরেই খবর এলো সে আমার নাম করতে করতে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য নিতান্তই অস্থির অবস্থায় মারা গেছে।

 পরীক্ষার ফল বের হলে দেখা গেল আমি দ্বিতীয় ডিভিশনে পাশ করেছি। তখন এফ্ এ বা ফার্ষ্ট আর্টস্ পড়তে গেলুম পাটনায়, সেখানে বিধান বোর্ডিংএ বাসা নিয়ে পাটনা কলেজে গিয়ে ভর্ত্তি হলুম। এর ঠিক আগেই মেজদা মনোমোহন ঘোষ সেখানকার ইংরাজীর প্রফেসর ছিলেন, সবে বদলী হয়ে তখন ঢাকা কলেজে গিয়েছেন। প্রসিদ্ধ এম ঘোষের ভাই বলে ছাত্রমহলে আমার আসায় খুব একটা চাপা চাঞ্চল্যের ঝড় বয়ে চলেছে বলে বুঝতে পারলুম কিন্তু ভাব আমার বড় একটা কারু সঙ্গেই হ’লো না। একা কলেজে যেতুম, একা ফিরে আসতুম্। বোর্ডিংএ গণেশ বাবু ছিলেন আচার্য্য ও অধ্যক্ষ, প্রতি সন্ধ্যায় ও সকালে সেখানে ছেলেদের নিয়ে হ’ত উপাসনা। আমি তখন কবিতা লিখতুম ও গম্ভীর বিষয় সব নিয়ে সাহিত্যিকদের মত আলোচনা করতুম। উপাসনার নিয়ম ছিল এক এক দিন এক একজন ছেলে আচার্য্যের গদীতে বসে প্রার্থনা করবে। গণেশ বাবু আমাকে প্রার্থনা করবার জন্যে অনুরোধ উপরোধ আরম্ভ করলেন এবং আমার অনিচ্ছা দেখে একদিন উপাসনান্তে হঠাৎ সবার সামনে উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করে দিলেন—“এইবার বারীন্দ্র

১২৪