আমার দেখা রাশিয়া
আনাতোলি এসে হাজির, নিষ্কৃতি পেলাম। শুনলাম, কমরেড তাঁদের গ্রামের সমৃদ্ধি কি ভাবে চা-বাগানের দৌলতে বেড়ে গেছে, তারই গল্প শোনাচ্ছিলেন।
দুটো চা-বাগান ও একটা চা তৈরীর কারখানা দেখলাম। আমাদের দেশের তরাই-এর চা-বাগানগুলোর মতই। কারখানা অর্থাৎ কাঁচা চায়ের পাতা নানারকম প্রণালীর মধ্য দিয়ে শুকিয়ে যে ভাবে চা হয়, তাও আমাদের দেখান হ’ল। এমন কারখানা আমাদের দেশেও আছে, কেবল নেই কুলী ও কুলীবস্তী। চা-বাগানের কারখানার চারদিকে প্রাসাদতুল্য অট্টালিকায় কর্মীরা বাস করে। ছোট ছোট ব্যক্তিগত পারিবারিক বাড়ীও আছে। এছাড়া ক্লাব নাচঘর থিয়েটার শিশু পালনাগার কিণ্ডারগার্টেন রয়েছে। চায়ের পাতা মেয়েরাই তোলে। একটি কারখানায় থান ইটের মত চা তৈরী হয়, এগুলি মঙ্গোলিয়া কাজাকস্তান ও সাইবেরিয়ায় চালান যায়।
জুগদিদির চারদিকে সমবায় কৃষিক্ষেত্র। এই কৃষির দৌলতেই গ্রাম শহর হয়েছে। এদের গ্রাম্য ম্যুজিয়ম দেখে বিস্মিত হলাম। প্রস্তরযুগ থেকে আধুনিক যুগের কত ঐতিহাসিক নিদর্শন এরা সংগ্রহ করেছে। জর্জিয়ান কুটির শিল্প ও চিত্রকলার সংগ্রহ প্রচুর। একটা কক্ষে স্থানীয় সামন্তরাজার সংগৃহীত বিলাসসামগ্রী ও তৈজসপত্র। ইনি প্যারিসে নেপোলিয়নের ব্যবহৃত চেয়ার টেবিল কিনেছিলেন, তাও দেখলাম এরা যত্ন করেই রেখেছে। এখানে লোকে দেশের শিল্প খনিজসম্পদ সংস্কৃতি ও চারুকলার সঙ্গে পরিচয় লাভ করে।
১৩১