পাতা:আমার বাল্যকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আ মা র বা ল্য ক থা
৪৫

রেখার পোকামাকড় কৃমি বিটকাল,
উচ্চিংড়ি ফড়িং পিঁপড়া পালে পাল,
ক্ষান্ত হোক রোসো আগে করি কিলিবিলি;
ধীরে সুস্থে কোরো শেষে ফুটকুনি বিলি।
এক মেটে করিয়া করিবে কাজ ফতে।
দো মেটে করিবে শেষে অবকাশ-মতে॥

সিদ্ধিলাভ।

প্রথমে প্রথম খণ্ডে পাকাইবে হাত।
দ্বিতীয় খণ্ডের তবে উলটিবে পাত॥
মস্তকে মথিয়া লয়ে পুস্তকের সার।
হস্তকে করিবে তার তুরুক সোয়ার॥
হইবে লেখনী ঘোড়-দোউড়ের ঘোড়া।
আগে কিন্তু পাকা করি বাঁধা চাই গোড়া॥

 বড়দাদা গদ্যেও প্রবন্ধাদি অনেক লিখেছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, সে সমস্ত একস্থানে পুস্তকাকারে মুদ্রিত হয় নাই। তাঁর গদ্য-লেখা সামান্যতঃ দুই ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে—দার্শনিক ও সামাজিক। তাঁর সর্বপ্রথম দার্শনিক প্রবন্ধ ‘তত্ত্ব-বিদ্যা’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় কিন্তু সে অনেক কালের কথা, গ্রন্থখানি এখন পাওয়া যায় কি না সন্দেহ। সম্প্রতি কয়েকমাস ধরে ‘গীতাপাঠ’ নামক যে প্রবন্ধগুলি ‘প্রবাসী’ মাসিক পত্রিকায় আমরা ঔৎসুক্যসহকারে পাঠ করেছি—গীতাশাস্ত্রের এই যে অপূর্ব মৌলিক ব্যাখ্যা—এটি সম্পুর্ণ অবয়বে যখন বেরবে, তখন ইহা গীতাধ্যায়ীদের পরম আদরের সামগ্রী হবে সন্দেহ নাই। ‘তত্ত্ব-বিদ্যা’ হতে আরম্ভ করে এই ‘গীতাপাঠ’ যদি সমাপ্তির মধ্যে গণ্য করা যায়— এই দুইয়ের মাঝখানে বড়দাদার লিখিত বিবিধ দার্শনিক প্রবন্ধ আছে, যেমন “সারসত্যের আলোচনা” “বিদ্যা এবং জ্ঞান”, “হারামণির অন্বেষণ” “দ্বৈতা-