পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

‘বিগ ব্যাং’। এই বিস্ফোরণের পরেই সৃষ্টি হল কোয়ার্ক ইত্যাদি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কিছু কণা। তখনই বিশ্ব সৃষ্টি হল। বিস্ফোরণের পর বিশ্ব যেমন আয়তনে বাড়তে লাগল, তেমনই এক সময় তার উত্তাপ কমতে শুরু করল। বিশ্ব সম্প্রসারিত আর শীতল হতেই থাকল। একটা পর্যায়ে সৃষ্টি হল হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন তারকা সৃষ্টির ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। এইভাবে সৃষ্টি হল তারার। সৃষ্টি হল, আবার ধ্বংসও হল। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উদ্ভব হল বিভিন্ন ভারী পদার্থের, ইংরেজিতে যাকে বলে হেভি এলিমেণ্ট।

 নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অণু-পরমাণুর সৃষ্টি হতে লাগল এবং তাদের রূপান্তরও ঘটতে লাগল। অণু ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হতে শুরু করল। শেষে রেপ্লিকেটিং মলিকিউল এল। রেপ্লিকেটিং মলিকিউল মানে সেই ধরনের মলিকিউল, যা থেকে ঠিক ওই ধরনের মলিকিউল তৈরি হতে পারে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এক সময় এল ইউক্যারিয়োটিক সেল। এই সেল বা কোষের মধ্যে এল জেনেটিক কোষ। এই কোষ থেকেই প্রাণের সৃষ্টি হল। প্রথমে এল এককোষী প্রাণী, তারপর বহুকোষী।

 মানুষ এসেছে সবার শেষে। মানুষের আগমন মাত্র তিরিশ লক্ষ বছর আগে। মানুষ একবারে পৃথিবীতে আসেনি। এককোষী প্রাণীর থেকে যে রূপান্তর সৃষ্টি হয়েছিল, তারই শেষ পরিণতি মানুষ।

 প্রকৃতির রাজ্যে যে রূপান্তর জন্মলগ্ন থেকে শুরু হয়েছিল, তা সম্পূর্ণই উদ্দেশ্যহীনভাবে আজও ক্রিয়াশীল। কোষের মধ্যেও উদ্দেশাহীনভাবেই মিউটেশন হচ্ছে। এই মিউটেশনই মূল কথা। এই মিউটেশনের জন্যই এককোষী প্রাণী থেকে বিবর্তনের পথ ধরে এসেছে কোটি কোটি কোষের প্রাণী—মানুষ। এই মিউটেশনের জন্যেই বিবর্তন সম্ভব হয়েছে।

 বাইবেলে বলা হয়েছে, ‘God created man in His own image’। বাইবেলের কথাটা বদলে বলা যায়, Mancreated God in his own image। প্রায় সব ধর্মেই তাই। তাইতো আমরা দেখি দেব-দেবীদের সবাই মানুষেরই মত। তারা দুঃখে কাতর হন, আনন্দে উল্লাসিত, ক্রোধে উন্মাদ।

O

বাইবেলে বলা হয়েছে, 'God created man in His own image। বাইবেলের কথাটা বদলে বলা যায়, Man created God in his own image। প্রায় সব ধর্মেই তাই। তাইতো আমরা দেখি দেব-দেবীদের সবাই মানুষেরই মত। তারা দুঃখে কাতর হন, আনন্দে উল্লাসিত, ক্রোধে উন্মাদ।

O

 আর এক বিজ্ঞানী অশোক বড়ুয়া ঘড়ির কাঁটা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে বাইবেলে আবিষ্কার করেছেন আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক থিওরি। তশোক বড়ুয়া ইণ্ডিয়ান

১৩১