পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের মধ্যে ফুটপাতের ভিখারি থেকে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী — সবই উপস্থিত। এদের যুক্তি নানা বৈচিত্র্যে ভরপুর। আটপৌরে থেকে বিজ্ঞানের কূটকচালি, সবই হাজির। গ্রন্থটিতে লেখক দীর্ঘ পরিশ্রমলব্ধ গবেষণায় বিশ্বাসের অকিঞ্চিৎকর থেকে অসাধারণ, তামাম যুক্তিকে সংগ্রহ ও হাজির করেছেন। তারপর, প্রতিটি ঈশ্বর-পক্ষীয় যুক্তিকে আবেগশূন্য নির্লিপ্ততায় শাণিত যুক্তি ও বিশ্লেষণে নস্যাৎ করেছেন।

'ভাববাদী বা 'আধ্যাত্মবাদী অথবা অলীক কল্পনাবাদীদের 'প্রাণভোমরা' তিনটি 'মায়া পেটিকা'য় এতদিন সুরক্ষিত ছিল ‘হুজুর ও তার সহযোগী দৈত্যদের নিচ্ছিদ্র পাহারায়। মায়া পেটিকা তিনটি—‘নিয়তিবাদ’, ‘আধ্যাত্মবাদ’ ‘ঈশ্বরবাদ'। চিরায়ত গ্রন্থ 'অলৌকিক নয়, লৌকিক’-এর তৃতীয় ও চতুর্থ খণ্ডের শাণিত যুক্তি খণ্ড-বিখণ্ড করেছে যথাক্রমে ‘নিয়তিবাদ' ও 'আধ্যাত্মবাদ'-এর মায়া পেটিকা। এবার শেষ লড়াই। এতদিনকার ‘ঈশ্বর-বিশ্বাস' ও ' বিজ্ঞান'-এর লড়াই শেষ হতে চলেছে, ঈশ্বর বিশ্বাসের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।

'ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলী মনে করে — এই গ্রন্থটির প্রকাশ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। পৃথিবীর সংস্কৃতির জগতে, মননের জগতে, ঈশ্বৰ বিশ্বাসের তামাম যুক্তির বিরুদ্ধে এমন অমোঘ খণ্ডন ও চরম আঘাত এই প্রথম। এখন আমরা সোচ্চারে ঘোষণা রাখতেই পারি—এতদিনে ভাববাদের সঙ্গে যুক্তির লড়াই শেষ হতে চলেছে, ভাববাদী বিশ্বাসের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।