পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—অনেক ধন্যবাদ মাষ্টর মশাই। রাত হয়েছে গাড়িতেই বাড়ি চলে যান। পেঁৗছে দেবে ড্রাইভার। আর্য-নিন। পকেট থেকে একমুঠো নোট বের করে দেয় সে বসস্তবাবুকে। পটল অবশ্য টাকার কাপণ্য করে না। কিন্তু এ টাকায় কেমন ভয় হয় বসন্তবাবুর। সুধাময়ীর দিকে চেয়ে থাকেন। তিনি। ওর মনে আরও পাবার আশাটা বেড়ে চলেছে। ও জানে না সেই পাবার আশা মিটোতে বাসস্তবাবু বলেন-টাকা যা পাের সরিয়ে রাখো। পয়সার জন্য অনেক কষ্টই পেয়েছে। সুধাময়ী টাকাগুলো হাত পেতে নেয়। সুধাময়ী স্বামীকে চুপচাপ থাকতে দেখে শুধোয়—কি ব্যাপার? চমকে ওঠেন বসস্তবাবু, সেই ভয়টা কাটে নি। সাবিত্রীকে ঢুকতে দেখে ওর দিকে চাইল সুধাময়ী। —কি রে ? শরীর খারাপ ? সাবিত্রীর চেহারায় একটা উস্কো খুস্কো ভাব ফুটে উঠেছে। মুখচোখে কি চাপা। উত্তেজনার আভাস। মাকে দেখে একটু হ'কচাকিয়ে ওঠে সাবিত্রী। কোনরকমে জবাব দিল । —না। একটু জুর জুর হয়েছে। বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যাবে। সাবিত্রী ওপাশের ( b66 666 | মায়ের চোখকে তবু যেন ফাঁকি দিতে পারে না সাবিত্রী। সুধাময়ী একদৃষ্টি ওর দিকে চেয়ে থাকে। সাবিত্রী ঘরের ভিতর যেতে সুধাময়ী তিক্ত কণ্ঠে বলে স্বামীকে। —বারবার তােমায় বলছি। সােমত্ত মেয়ে কবে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। একটা ব্যবস্থা করো। --দেখি কি হয় ? বসন্তবাবুও কি ভাবছেন। আজ সাবিত্রীকে দেখে তারও ভালো বোধ হয় নি। তাই বলেন চিন্তিত মুখে aa