পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ । আমেরিকার নিগ্রো এর পরে নূতন জীবন নিয়ে যখন সংসারে অবতীর্ণ হই তখন থেকে শ্বেতকায়দের সম্পবে যাইনি। | মায়ের শরীরও খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। ডাক্তার বলছিলেন, গনকোকাস যার রক্তের সংগে মিশে গিয়েছে তার কোন ঔষধে কাজ করবে না। হােমিওপ্যাথিক ঔষধের ব্যবস্থা করতে হবে। হােমিওপ্যাথিক ডাক্তারের ফি খুবই বেশি, যদিও ঔষধের দাম অনুপাতে সন্তা। সেজন্য সব কিছু পরিত্যাগ করে মায়ের সাহায্য করবার জন্য যা সামনে পেয়েছিলাম তাই গ্রহণ করতে হয়েছিল। ক্রাইম। আমার মন পাপ-পথে ধাবিত হল। শুধু অর্থ উপার্জন আমার লক্ষ্য ছিল না, শ্বেতকায়দের প্রতি প্রতিশােধ নেওয়াও আমার কর্তব্যের মধ্যে এসেছিল। কিন্তু যখনই সময় পেতাম তখনই হােমিওপ্যাথিক পুস্তক পড়ে মায়ের জন্য ঔষধ কিনে আনতাম এবং মাকে ঔষধ খেতে দিয়ে বেশ শান্তি পেতাম। আমাকে যারা নিযুক্ত করেছিল পাপ কার্যে-তারা সকলেই ছিল আমেরিকা। এক দিন সকালের দিকে একটা আমেরিকা আমার হাতে দুই শত ডলার দিয়ে বললে, “উইলী তােমাকে একটি সাহসের কাজ করতে হবে। ভলারগুলি তােমার মায়ের হাতে দিয়ে তাড়াতাড়ি চলে এস।” | নিগ্রোদের পক্ষে দুই শত ডলার একত্রে দেখা মহা পুণ্যের ফলে হয়। মায়ের হাতে দুই শত ডলারের নােট দিয়ে বললাম, “মা আজ এত গুলি নােট দিয়েছে একটি সাহসের কাজ করার জন্য। ভলারগুলি রেখে দাও, অন্তত ছয়টি মাস আরামে কাটাতে পারবে।” টাকাগুলি রেখে দিয়ে মা বললেন, “উইলী, খেতকায় আমাদের শ, তাদের দুই শিক্ষার প্রভাবে তাদের নিজের লােককেও । “।