পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

निदान । আয়ুৰ্বেদ-শিক্ষা দ্বিতীয়খণ্ড প্রকাশিত হইতে কিঞ্চিৎ বিলম্ব হইয়াছে। আশা করি সহৃদয় গ্রাহকের বিষয়ের গুরুত্ব অনুভব করিয়া এই অনিচ্ছাকৃত ক্রটি মার্জনা করিয়া লইবেন । গ্রন্থখানি যে ধরণে মুদ্রিত হইতেছে, ঐ ধরণের গ্রন্থ আয়ুর্ব্বেদে এক খানিও নাই, সুতরাং বলিতে গেলে কেবলমাত্র রোগের লক্ষণ সংগ্রহ ব্যতীত অন্য কোনও প্রকারে আয়ুৰ্বেদীয় গ্রন্থ হইতে বিশেষ সাহায্য পাই নাই, কারণ আয়ুৰ্বেদীয় গ্রন্থে কেবল রোগের অধিকার ভেদে কতকগুলি করিয়া ঔষধ বিন্যস্ত হইয়াছে ; কিন্তু ঐ সকল ঔষধের প্রয়োগ-প্রণালী, চিকিৎসাবিধি এবং মারাত্মক-উপসর্গের চিকিৎসা বিস্তারিত রূপে লিপিবদ্ধ হয় নাই ; অথচ ঔষধের প্রয়োগ প্রণালী সবিশেষ জানা না থাকিলে, ঔষধ প্রয়োগই চলে না, এস্থলে একটি উপমা দিলে কথাটা সহজেই হৃদয়ঙ্গম হইবে। কুইনাইন আমাদের দেশে বহু প্রচলিত, জ্বর নষ্ট করা উহার প্রধান গুণ বা মুখ্যক্রিয়া । পিত্তনাশ করা ও বল বুদ্ধি করা অপ্রধান গুণ বা গৌণক্রিয়া, কিন্তু কুইনাইনের এরূপ অনেক গুণ সত্ত্বেও প্রায়শঃ জর বিনাশের জন্যই উহার প্রয়োগ হইয়া থাকে ; পিত্ত বিনাশের জন্য বা বলবৃদ্ধির জন্য উহ প্রায়শঃ ব্যবস্থা করা হয় না। কুইনাইন জরনাশক ঔষধের মধ্যে এতাদৃশ শক্তিশালী অথচ উহার প্রয়োগ প্রণালী অনেকেই অবগত নহেন, এই জন্যই কেহ বা আমরসের অপকাবস্থায় কেহ বা অস্ত্রাদি পরিষ্কত না করিয়াই কুইনাইন প্রয়োগ করেন এবং তাহার ফলে রোগীর জ্বর আটকাইয়া প্লীহাযকৃৎ প্রভৃতি মারাত্মক উপসর্গ উপস্থিত হয়, এই সকল কারণে যে কোনও ঔষধই হউক, তাহার প্রয়োগ প্রণালী উত্তমরূপে অবগত হওয়া আবশ্যক । প্রয়োগ প্রণালী মা জানিয়া ঔষধ প্রয়োগ করিলে, তদ্বারা সর্বদা বিপদ ঘটতে নাও পারে ; কিন্তু রোগীর রোগমুক্তির পক্ষে যে বিশেষ ব্যাঘাত छgन्म, उठाश दवाड्ने दाछल] । এইরূপ চিকিৎসাবিধি জানা না থাকিলেও কোনও রোগের চিকিৎসুই চলে না, আবার মারাত্মক উপসর্গের চিকিৎসা জানা না থাকিলে, চিকিৎসার অভাবে উপসর্গ দ্বারাই রোগী বিনষ্ট হইতে পারে ; সুতরাং এসম্বন্ধে