পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V আয়ুৰ্বেদ-শিক্ষা। ও গাত্রে ভারবোধ ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়, সেই জ্বরকে আয়ুর্ব্বেদাচার্য্য গণ সামজর বলিয়া থাকেন। আমাপক লক্ষণ, যথা- জ্বরের মৃদুতা অর্থাৎ জ্বরের বেগ পূর্ব্বাপেক্ষ। হ্রাস এবং বায়ু, পিত্ত, শ্লেষ্মা ও মলমূত্রের যথাযথারূপে নিৰ্গমন হইলে, বায়ুপিত্তা দির পরিপাক হইয়াছে বুঝিতে হইবে। নিরামজ্বর। ক্ষুধার উদ্রেক, শরীরের কৃশতা অর্থাৎ জরকালীন শরীরের যেরূপ অবস্থা ছিল তদপেক্ষা কুশতা, জ্বরের অল্পতা ও অষ্টাহকাল অর্থাৎ সপ্তাহ অতীত হইলে তৎপরবত্তী দিনে সামজ্বরের উল্লিখিত লক্ষণ ক্রমশঃ নিবৃত্তি হইলে, নিরামজর বুঝিতে হইবে, কাহারও মতে দশ দিবস পর্য্যন্ত নিরামত অর্থাৎ বায়ু, পিত্ত ও শ্লেষ্মা এবং রসাদি ধাতু দশ দিনে স্বাভাবিক অবস্থা প্রাপ্ত হয়। মধ্যজীৱ । অষ্টাহের পরবত্তী দিন হইতে দ্বাদশদিবস পর্য্যন্ত মধ্যজর শাস্ত্রে নির্ণীত হইয়াছে, কোনও কোনও গ্রন্থকার বলেন যে, চতুৰ্দশ দিবস পর্য্যন্ত মধ্যজর সংজ্ঞা, কিন্তু এই মত সর্বসম্মত নহে। পুরাতন জ্বর। ত্রয়োদশ দিবস হইতে যে জ্বর শরীরে অল্পভাবে প্রকাশ । পায় এবং বাতাদি দোষের অল্পতা দৃষ্ট হয়, তাহাকে পুরাতন জ্বর বলে। অতি জীণ জ্বর । ত্রিসপ্তাহ অর্থাৎ একুশ দিনের পর যে জর ক্রমশঃ হ্রাস পাইয়া প্লীহা ও যকৃৎ প্রভৃতি উৎপাদন পূর্বক শরীরের কৃশতা সম্পাদন করে, তাহাকে অতি জীর্ণজর বলে । জ্বরে-ঔষধপ্রয়োগ। সামঙ্গরে অর্থাৎ সপ্তাহ মধ্যে কাথ (পাচন ) প্রয়োগ নিষিদ্ধ, কেবলমাত্র দোষ সংশোধক, আমরসপাচক ও কোষ্ঠশোধকবটিকা প্রভৃতি সেবন করিতে দিবে কারণ রস (পারদ) সংযুক্ত বটিক সপ্তাহ মধ্যে সেবনে কোন প্রতিবন্ধকতা নাই। বরং ইহা দ্বারা বাতাদি দোষের সমতা জন্মে এবং অনেকস্থানে ঐ জর আর নিরামজররূপে বা বিষমজরে পরিণত হয়না অর্থাৎ সাতদিবস মধ্যেই জ্বর একেবারে কমিয়া যায় ;কিন্তু সপ্তাহ মধ্যে জর একেবারে দূরীভূত না হইয়া মৃদুভাবে অবস্থিতি করিলে, সেই অবস্থায় নিরামজ্বরে নির্দিষ্ট দোষ-পাচক কষায়