পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ن ) ব্যবস্থিত ঔষধের নিয়েই তাহার প্রস্তুত প্রণালী ও উপকরণের তালিকা সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। প্রত্যেক রোগের অবস্থাভেদে সহজলভ্য পথ্য সকল সন্নিবিষ্ট করা হইয়াছে। ঔষধসমূহ প্রস্তুত করিতে হইলে স্বর্ণ, রৌপ্য প্রভৃতি ধাতুদ্রব্য এবং বিষ, উপবিষ ও উদ্ভিজজাদির প্রায়শঃ আবশ্যকতা হয়, সুতরাং উহাদের শোধন ও জারণ মারণের সহজপ্রণালী বিস্তারিতরূপে বর্ণিত হইয়াছে । একটী ঔষধ প্রস্তুত করিতে হইলে, এবং তন্মধ্যে কোনও দ্রব্য দুস্তপ্রাপ্য হইলে, তৎপরিবর্তে তদগুণবিশিষ্ট কোন দ্রব্য প্রদান করা কীর্ত্তব্য, তাহা পরিাভাষা নামক অংশে সন্নিবদ্ধ হইয়াছে । তৈল, ঘুত, মোদক ও অবলোেহ প্রভৃতির প্রস্তুত প্রণালী সহজে যাহাতে হৃদয়ঙ্গম হয়, এরূপ ভাবে বুঝাইয়া দেওয়া হইয়াছে। মূৰ্ছা, ক্যাথ ও কন্ধদ্রব্যাদির পাকের নিয়ম পরিব্যক্ত হইয়াছে। রোগীর অবস্থাভেদে ভিন্ন ভিন্ন পথ্যাদির আবশ্যকৃত বশতঃ মসুরযুষ, মুগেরযুষ, মণ্ড, মাংসায়ুষ ও উষ্ণোদক প্রভৃতির প্রস্তুতপ্রণালীর উল্লেখ করা श्वाcछ । এই গ্রন্থে যে সকল ঔষধ সন্নিবদ্ধ হইয়াছে, তাহা আমাদের বহু পরীক্ষিত, সুতরাং ঐ সকল ঔষধ প্রয়োগ করিবার সময়ে ঔষধগুলি অপরীক্ষিত বলিয়া কাহাবুও সন্দেহ করিবার কোনও কারণ নাই । শাস্ত্রে যেরূপ মাত্রার উল্লেখ আছে, তদ্রুপ মাত্রায় আজ কালি ঔষধ প্রয়োগ করা হয় না, আমরা সচরাচর যে মাত্রায় ঔষধ প্রয়োগ করিয়া থাকি, ইহাতে সেইরূপ মাত্রা লিখিত হইয়াছে। যে সকল ঔষধের প্রয়োগ কলিকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে দৃষ্ট হয় না, এই গ্রন্থে সেইরূপ অনেক ঔষধ সন্নিবিষ্ট হইয়াছে, ঐ সকল ঔষধের প্রয়োগপ্রণালী বিশেষতঃ জ্বরবিকার-চিকিৎসা পূর্ববঙ্গ হইতে সঙ্কলিত হইয়াছে। গ্রন্থবিশেষে কোনও ঔষধে দ্রব্যের ও পরিমাণের বিভিন্নতা লক্ষিত হয়, কিন্তু দীর্ঘকাল যাবৎ ঔষধ প্রস্তুতকালে যে যে দ্রব্য যে পরিমাণে গ্রহণ করা হইয়াছে, তাহাই এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিয়াছি। ব্যবসায়ের অনুরোধে অনেকে বিষ, উপবিষ, ধাতু ও উপধাতু প্রভৃতি দ্রব্যের শোধন ও জারণ মারণের সহজ প্রণালী এবং ঔষধ প্রয়োগ ও প্রস্তুতের