বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እኳebዪ9 আরণ্যক বৈশাখ হইতে ভাদ্র মাসের মধ্যে মটুকনাথের টোলের ছাত্রসংখ্যা বেশ বাড়িল। দশ-বারোটি বাপে-তাড়ানো মায়ে খেদানো গরিব বালক বিনা পয়সায় অল্প আয়াসে খাইতে পাইবার লোভে নানা জায়গা হইতে আসিয়া জুটিয়াছে । কারণ এ সব দেশে কাকের মুখে একথা ছড়ায়। ছাত্রগুলিকে দেখিয়া মনে হইল। ইহারা পূর্বে মহিষ চরাইত। কারও মধ্যে এতটুকু বুদ্ধির উজ্জলতা নাই-ইহারা পড়িবে কাব্য-ব্যাকরণ ? মটুকনাথকে নিরীহ মানুষ পাইয়া পড়িবার ছুতায় তাহার ঘাড়ে বসিয়া খাইতে আসিয়াছে। কিন্তু মটুকনাথের এসব দিকে খেয়াল নাই, সে ছাত্র পাইয়া মহা খুশি। একদিন শুনিলাম, টোলের ছাত্রগণ কিছু খাইতে না পাইয়া উপবাস করিয়া আছে। সেই সঙ্গে মটুকনাথাও । মটুকনাথকে ডাকাইয়া ব্যাপার জিজ্ঞাসা করিলাম। কথাটা ঠিকই। সিপাহীরা চান্দা করিয়া যে আটা ও ছাতু দিয়াছিল, তাহা ফুরাইয়াছে, কয়েক দিন রাত্রে শুধু বাথুয়া শাক সিদ্ধ আহার করিয়া চলিতেছিল, BKKDBDDL B LD DDD DBD SS DBDBD BBDD DD DDB DBBDBDB BBBK হওয়াতে কেহ খাইতে চাহিতেছে না। --তা এখন কি করবে। পণ্ডিতজী ? --কিছু ত ভেবে পাচ্ছি নে হুজুর। ছোট ছোট ছেলেগুলো না খেয়ে FK আমি উহাদের সকলের জন্য সিধা বাহির করিয়া দিবার ব্যবস্থা করিলাম । দু-তিন দিনের উপযুক্ত চাল, ডাল, ঘি আটা। বলিলাম-টোল কি ক’রে চালাবে, পণ্ডিতজী ? ও উঠিয়ে দাও । খাবে কি, খাওয়াবে কি ? দেখিলাম, আমার কথায় সে আঘাত পাইয়াছে। বলিল-তাও কি হয় হুজুর ? তৈরী টোল কি ছাড়তে পারি ? ঐ আমার পৈতৃক ব্যবসায়। মটুকনাথ সদানন্দ লোক । তাহাকে এ-সব বুঝাইয়া ফল নাই। সে ছাত্র কয়টি লইয়া বেশ মনের সুখেই আছে দেখিলাম।