বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যক Sሕዳት বেঙ্কটেশ্বর প্রসাদের প্রতি অবিচার করিতে চাই না। তাহার ভাষা আমি ভাল বুঝি নাই-সত্য কথা বলিতে গেলে বিশেষ কিছুই বুঝি নাই। তবুও মাঝে মাঝে উৎসাহ ও সমর্থন সুচক শব্দ উচ্চারণ করিয়া গেলাম । বহুক্ষণ কাটিয়া গেল। ৰেঙ্কটেশ্বর প্রসাদ কবিতাপাঠ থামায় না, উঠিবার নাম করা তো দূরের কথা। ঘণ্টা দুই পরে সে একটু চুপ করিয়া হাসি-হাসি মুখে বলিল-কি রকম লাগলো বাবুজীর ? বসিলাম-চমৎকার। এমন কবিতা খুব কমই শুনেছি। আপনি কোন পত্রিকায় আপনার কবিতা পাঠান না কেন ? বেঙ্কটেশ্বর দুঃখের সহিত বলিল-বাবুজী,এদেশে আমাকে সবাই পাগল বলে। কবিতা বুঝবার মানুষ এ-সব জায়গায় কি আছে ভেবেছেন ? আপনাকে শুনিয়ে আমার আজ তৃপ্তি হ’ল। সমজদারকে এ-সব শোনাতে হয়। তাই আপনার কথা শুনেই আমি ভেবেছিলাম একদিন সময়-মত এসে আপনাকে ধরতে হবে । সেদিন সে বিদায় লইল কিন্তু পরদিন বৈকালে আসিয়া আমায় পীড়াপীড়ি করিতে লাগিল তাহদের গ্রামে তাহাদের বাড়ীতে আমায় একবার যাইতে । অনুরোধ এড়াইতে না পারিয়া তাহার সহিত পায়ে হঁটিয়া চকমকিটোলা রওনা श्श्लाभ ! বেলা পড়িয়াছে। সম্মুখে গম যবের ক্ষেত্র বহু দূর জুড়িয়া উত্তর দিকের পাহাড়ের ছায়া পড়িয়াছে। কেমন একটা শান্তি চারিধারে, সিল্পী পাখীর ঝাক কঁাটা বঁাশঝাড়ের উপর উড়িয়া আসিয়া বসিতেছে, গ্রাম্য বালকবালিকার এক জায়গায় ঝরণার জলে ছোট ছোট কি মাছ ধরিবার চেষ্টা করিতেছে। গ্রামের মধ্যে ঠাসাঠাসি বসতি। চালে চালে বাড়ী, অনেক বাড়ীতেই উঠান বলিয়া জিনিস নাই । মাঝারিগোছের একখানা খোলা-ছাওয়া বাড়ীতে বেঙ্কটেশ্বর BBBD DBDDBD DBDB gB DDB SS BBDB BBD DuDD DD BDBD DS সেখানে একখানা কাঠের চৌকিতে বসিলাম। একটু পরে কবিগৃহিণীকেও দেখিলাম