পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: হয় হবে, না হয় না হবে, আমি তো বেঁচেছি বাব। মনটা ঠিক করে। রাতে ঘুম হচ্ছে আবার। কেশব জিজ্ঞাসা করে, ভাব আছে তোদের ? ; ভাব ? পিরীত ? ওসব আমার আসেন ভাই । কাটখোটা মিস্তিরি, খাটি, ওসব রস পাব কোথা ? মাঝে মধ্যে মার কাছে আসে, দেখা হয়, দুটো কথা হয়, বাস ! কানু একটু হেসে মাথা দুলিয়ে “ যোগ দেয়, তবে বেলা জানে ওকে আমার খুব পছন্দ।

মা কি বলল ? ; মা চটে মটে মামার কাছে চলে গেছে। দু'দিন বাদে রাগ পড়লে

আবার আসবে । কানু একবার উঠে পড়ে লাগবে, প্রাণপণে চেষ্টা করে দেখবে বেলাকে নিয়েই যদি সংসার করার সাধটা মেটানো যায় । সে যদি জানতো কি করলে তার অসুখটা সারানো যায় । সেও একবার উঠে পড়ে লাগত, জীবন পণ করে চেষ্টা করে দেখত । লালনার চিকিৎসা করে অজয় । ডাক্তার রোগের আক্রমণ ঘটে লালন বিছানা নিলে তখন সে তাকে দেখে এসেছে বরাবর, কখনো তার গান শোনে নি । ঘটনাচক্রে অনিমেষের এক বন্ধুর বাড়ীতে কান দিয়ে তার গান শুনে এবং চোখ দিয়ে তাকে গাইতে দেখে সে একটা বড় ভয়ঙ্কর ব্যবস্থা দিয়েছে । কিছু কাল ললনাকে গান গাওয়া একেবারে বন্ধ রাখতে হবে। গান গাইতে ফুসফুসে চাপ পড়ে বলে নয়, গান সে বড় বেশী মন দিয়ে বড় বেশী আবেগের সঙ্গে গায় বলে। হাঁপানি নাকি এক হিসাবে বড়ই