পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| »8७ ।। আর্য্যদর্শন । শ্রাবণ > | - "ইহা আমি সইতে নারি। ভাড়ার জিম্মা যার কাছে মা, ' সে যে ভোলা ত্রিপুরারী। শিব আশুতোষ স্বভাব দাতা, তবু জিন্ম রাথ তারি। অৰ্দ্ধঅঙ্গ জায়গির, তবু শিবের মাইনে ভারি। আমি বিনা মাইনায় চাকর, কেবল চরণধুলার অধিকারী।” তখন র্তাহার পরমার্থ ধনের লালসা | যে কত বলবতী তাহ বিলক্ষণ প্রতিপাদিত হয়। এই সর্ব্বগ্রাসী আকাঙ্ক্ষার | মহত্ত্বে র্তাহার স্বামী স্তম্ভিত হইয়া | গেলেন। প্রসাদকে তিরস্কার করা দূরে দিবেন তিনি তাহারই কল্পনা করিলেন। | যে জায়গিরের জন্য প্রসাদ লালায়িত ও শিবের প্রতি ঈর্ষান্বিত, সে জায়গির বটে, কিন্তু যাহাতে প্রসাদ স্বয়ং সেই জায়গির লাভে কৃতার্থ হইতে পারেন, | তাহার উপায়স্বরূপ প্রসাদকে একটি | স্বাধীনবৃত্তি প্রদান করিলেন। প্রসাদের তাহার কবিত্ব উজ্জ্বলতর বর্ণে প্রতিভালিত দেখা যায়। এই সকল পদাবলী | সঙ্গীত হইলে, আমরা প্রসাদের সাধকত্বে | যত না বিমুগ্ধ হই, তাহার মুসঙ্গত উপমাচ্ছটায়, বাক্যরচনার ভঙ্গি ও সরলতায়, 1 রূপকরচনার চমৎক্সার ভাবে, আমরা | ততোধিক বিমুগ্ধ ৷ স্ত্রী খাই । এক এক সময়ে ভাবের গ্রগাঢ়তা, প্রসাদ হৃদয়ের সমাধান, ধর্ম্মতৃষ্ণ, ধর্ম্মসাহস, বৈরাগ্য | ও মৃত্যুনির্ভতি দেখিয়া আমরা স্তম্ভিত | হই বটে, কিন্তু তৎক্ষণাৎ তাবার ভাবি ] , কেমন আশ্চর্য্য ভাবে সেই সমস্ত ভাব | | প্রকটিত হইয়াছে। কত অল্পকথায় কত - মুমহং ভাব, কেমন সরল ভাষায় তাহা | থাক, তেমন সাধুজনকে কিরূপ পুরস্কার | প্রদান করিবার তাহার ক্ষমতা ছিল না | বিশেষ পরিচয় দেয়। কবি আমাদিগের প্রকাশিত, কেমন রূপক ও উপমালঙ্কারে তাহা মুসজ্জিত ! তখন র্তাহার কবিত্বই আমাদিগের হৃদয়ঙ্গম হয়। আমরা তাহার | কবিত্বের অধিকতর প্রশংসা করিতে কি। ধর্ম্মসঙ্গীতের ইহা একটি ক্রটি বটে, কিন্তু কবিত্বের ইহা প্রশংসা। আমা, - দিগের নিকট এই সমস্ত গীতে, কবির | भन्न न्डन मूख्न कझनाङ्ग डेनम्न कब्रिो | সঙ্গীতে যেমন তাহার পরমার্থলালসার | মহত্ব প্রকটত হইয়াছিল, তাহার স্বামীর { এই গুণগ্রাহিস্তার নিদর্শনে ততোধিক | ঔদার্ঘ্য প্রকাশিত হইল। . | প্রসাদগ্রসঙ্গকার যথার্থই বলিয়াছেন, যে রামপ্রসাদের সঙ্গীস্তাবলী তাহার সাধ| কত্ব ও কবিত্বের অমোঘ নিদর্শন। ইহাতে । উহার সাধক প্রতিপন্ন য় বটে, কিন্তু ================rی দেন। আমরা তাহার ধর্ম্মমত ভুলিয়া - গিয়া এই কল্পনার সঙ্গতি ও সামান্যতার মহৰ ভাবিতে থাকি। তাহার কল্পনার ঔজ্জ্বল্য নাই বটে, কিন্তু সে কল্পনার কৌশল ও স্বষ্টি বিলক্ষণ প্রতীত হয় | তাহার উপমাছটায় আমরা যত না আনন্দ } লাভ করি, তদপেক্ষা অধিকতর চমকিত { হই যাই। চমকিত হইলে যে আ