পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిలిg আর্য্যাবর্ত । ৪র্থ বর্ষ- ৪র্থ সংখ্যা I অধিকার । ( . ) ऐक्ऐcक ফুটফুটে মেয়ে প্রভা। প্রভা দরিদ্র ব্রাহ্মণপণ্ডিতের কন্যা; সংসারে তাহার পিতা রামশরণ, মা তা উমাতার এবং ভ্রাতা। রমেশ। রমেশ প্রভার বড়। সৈ বিদেশে থাকিয়া ইংরাজি বিদ্যাশিক্ষা করে। আজকাল দেশের যেরূপ দশা, তাহাতে প্রাচীন সংস্কৃত শাস্ত্রের মর্য্যাদা কিছুই নাই। ইহা বুঝয়া প্রভার পিতা তাহার ভ্রাতা। রমেশকে ইংরাজি শিখিতে বিদেশে १ार्याश्वांछन। প্রভাদের আর্থিক অবস্থা ভাল নহে। নিমন্ত্রণ ইত্যাদিতে যাহা কিছু আয় হয়, তাহা হইতে রমেশকে খরচ পাঠাইতে হয় ; আর যাহা কিছু অবশিষ্ট থাকে, তদ্বারাই কোনমতে চলিয়া যায়। অতি প্রত্যুষে শয্যা হইতে উঠিয়া ঘরদ্বার পরিষ্কার করিয়া বস্ত্রপরিবর্তন করতঃ প্রভা ঠাকুর-পূজার জন্য ফুল তুলিতে যায় ; ফুলতুলা তাহার একটা নিত্যকর্ম্ম । লাল চেলর ভিতর দিয়া যখন তাহার বর্ণের গোলাপী আভা ফুটিয়া বাহির হয় এবং একাগ্রামনে ফুল তুলিতে তুলিতে শ্রমে যখন তাহার মুখমণ্ডল অধিকতর রক্তবর্ণ হইয়া ওঠে। — কেশপাশ বিস্রস্ত হইয়া বায়ুবেগে দুলিতে থাকে, তখন তাহাকে দেখিলে বাস্তবিকই মুগ্ধ হইতে হয়। প্রভার বিবাহের বয়স হংয়া গিয়াছে ; কিন্তু টাকার অভাবেই এ যাবৎ তাহার বিবাহের কোন সুবিধা হয় নাই । গ্রামসম্পৰ্কীয়া ঠানদিদিগণ যখন তাহার বিবাহের প্রসঙ্গ উত্থাপিত করিতেন, তখন লজ্জায় তাহার স্বভাবতঃ গোলাপী গণ্ডস্থল অধিকতর আরক্তিম হইয়া উঠিত এবং সে তাহদের নিকট হইতে সরিয়া যাইত। প্রভা এখন যৌবনে পদাৰ্পণ করিয়াছে। বর্ষার বারিপাতে কুলপ্লাবিনী, বীচিবিক্ষোভশালিনী পরিপূর্ণ স্রোতস্বিনীর ন্যায় তাহার সুবিমল সৌন্দর্ঘ্যের উজ্জ্বাস তরঙ্গিত। আভরণহীন হইলেও তাহার অঙ্গ শ্রীহীন নহে। তাহার দেহের স্বাভাবিক শ্রী, পরিপূর্ণ দেহের সুগোল গঠন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অপূর্ব্ব সমতা দেখিলে তাহাকে কবির কল্পনারাজ্যের সৌন্দর্ঘ্যের রাণী বলিয়া उञ् छ् । প্রভার বয়স যতই বাড়িতেছে, তাহার পিতামাতার চিন্তাও ততই বাড়ি