পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুশলতায় অচিরকালমধ্যে উচ্চপদে উন্নীত হইলেন। অবশেষে তিনি নবাব ? মালিবর্দির মন্ত্রণাসভার একজন সদস্য নিযুক্ত হইয়াছিলেন। সেই সময় উহাকে মুর্শিদাবাদ নবাব দরবারে হইতে “লাল” এই সম্মানসূচক উপাধি প্রদান করা হয়। তদবধি আজ পর্যন্ত পূর্বাপর তাহার বংশধর মধ্যে এই উপাধি চলিয়া আসিতেছে। নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ বঙ্গ বিহার ও উড়িষ্যায় যে রাজস্ব বন্দোবস্ত করেন তাহা “জমা কামেল তুমারী” নামে পরিচিত। এই বন্দোবস্তে সমুদায় বঙ্গদেশ ত্রয়োদশটি চাকলায় এবং ১৬৬০ পরগণায় বিভক্ত হয়। এই ১৩টি চাকলাকে ২৫ জন বড় বড় জমীদারের অধীনে ভাগ করিয়া দেওয়া হয়। তন্মধ্যে “জালালপুর দিগর”, অন্যতম। এই জালালপুর দিগর চাকলা, ঢাকা, ལྔ་དག། ও ঘোড়াঘাটের কতকাংশ লইয়া গঠিত। লালা কীর্ত্তিনারায়ণ বাঙ্গালা ১১৭৫ সনে ৭ই জ্যৈষ্ঠ তারিখে জালালপুরের তৎকালীন জমীদার মতিউল্লা ও পানাউল্লার নিকট হইতে ৬৪৮%/১৷ টাকায় জালালপুর পরগণার “বদরাসন” ও “বরহানগঞ্জ” নামক চাকলাদ্বয়ের মিরাশপাট্ট গ্রহণ করেন। এই সময়েই তিনি ৮ অনন্ত দেবকে তদীয় কুলদেবতা রূপে শ্রীনগর গ্রামে স্থাপিত করেন ; এবং এই কুলদেবতার নামে বহু সম্পত্তি ক্রিয় করেন। একদা মুর্শিদাবাদে নবাব সরকারের হিসাবসম্বন্ধে মহারাজ রাজবল্লভ অত্যন্ত বিপদে পতিত হইলে কীর্ত্তিনারায়ণের প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে ও ক্ষিপ্রতায় অচিরে সমুদায় গোলযোগ হইতে রক্ষা পাইয়াছিলেন। ইহাতে মহারাজ সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে পুরস্কার স্বরূপ কতকগুলি ভূসম্পত্তি প্রদান করেন। কিন্তু মহারাজার পরিবারস্থ আত্মীয়স্বজনের বসত বাড়ী এই সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত থাকায় তাহারা ইহাতে আপত্তি উত্থাপিত করেন। এ দিকে কীর্ত্তিনারায়ণ ইহা লইয়া রাজপরিবারের সহিত বিবাদ করা যুক্তিসঙ্গত মনে করিলেন না। সুতরাং বাঙ্গালা ১১৮০ সালের ১লা পৌষ তারিখে ৩৫০০২ টাকার পরিাবর্ত্তে এবং কীর্ত্তিনারায়ণ স্বাধীন জমিদার শ্রেণীর মধ্যে গণ্য হইবার সর্ত্তে তিনি উহার দাবী পরিত্যাগ করেন। ফলে ঐ সম্পত্তির প্রায় ৭/০ আনা কীর্ত্তিনারায়ণের হস্তচু্যুত হয়। মহারাজার বংশধরগণ অদ্যাপি বৈকুণ্ঠপুর পরগণার y• আনা অংশ পৃথক জমীদারীর মালিক বলিয়া ভোগ করিয়া আসিতেছেন। এইরূপে বৈকুণ্ঠপুর পরগণার প/• আনা অংশ হস্তান্তরিত হইয়া ভিন্ন জমীদারীর অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে এবং বক্রী দ%/ আন্নাই বৈকুণ্ঠপুর পরগণার