: r r é i ;: ৪র্থ ঘর্ষ-৬ষ্ঠ সংখ্যা t 源 ! *-ჭ' .. د ٠ .. তাছাই পটীয় বেড়। এক্ষণে দেখা যাউক পটেশ্বরীর কোন ঐতিহাসিক কাল নির্ণয় করিতে পারা যায় কি না ? প্রবাদ-কৃষ্ণনগরের মহারাজ গোবরা গ্রাম রােমরামকে ব্রহ্মোত্তর দিয়াছিলেন। গোবরা রামরামের ব্রহ্মোত্তর হইলেও সাধারণে উহা পটেশ্বরীর সেবার সম্পত্তি বলিয়াই জানে । বিশেষতঃ প্রবন্ধে আছে যে, রাজা উক্ত গ্রামখানি রাম ঠাকুরকে দেবোত্তর দান করিতে চাহেন, কিন্তু রামের তাহাতে অত্যন্ত অনিচ্ছা থাকায় অবশেষে তঁহাকে ব্রহ্মোত্তর দেওয়া হয়। মধ্য বঙ্গের প্রায় অধিকাংশ ব্রহ্মোত্তরই নদীয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের দান। রাম রাম হইতে ২ বর্ত্তমান গিরিজাভূষণ বার পুরুষ। उ९कांगोन निर्धायान बख्द्रिा अiश् और्थজীবী হইতেন। তাহা হইলে রামরামের ব্রহ্মোত্তর কৃষ্ণচন্দ্রের বহু পূর্বের বলিয়া অনুমান হয়। পটীর বেড়ের লুপ্তপ্রায় চিহ্নগুলিও তাহার সাক্ষ্যদান । করে। বিশেষতঃ পটেশ্বরীর সহিত যে গোবিন্দজী ও মদনগোপাল আছেন তাহদের মূর্ত্তি অনেকটা বৌদ্ধভাবাপন্ন। এ দেশে পুস্কিরণী খনন করিতে গেলে, পুরাতন পুষ্করিণীর পঙ্কোদ্ধার করিতে গেলে অথবা কোথাও কোন কুপ ? কিম্বা মজা নদীর সংস্কার করিতে গেলে অনেক স্থানে প্রস্তুর-ক্ষোদিত বিভগ্নাঙ্গ বৌদ্ধভাবাপন্ন দেবদেবীর মূর্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। মুর্শিদাবাদ কান্দীর রুদ্রদেব প্রভৃতি দেশবিখ্যাত কয়েকটি বুদ্ধমূর্ত্তির অনুরূপ শিবমূর্ত্তির পূজা ও প্রভাব দেখিলে অনুমান হয় যে, বৌদ্ধ ধর্ম্ম দেশ হইতে বিদূরিত হইয়া শৈব ধর্ম্ম প্রতিষ্ঠিত হইলেও কয়েক শতাব্দী ধরিয়া বৌদ্ধদিগের প্রথা ও সংস্কার অনুসারে হিন্দু বিগ্রহাদির গঠনকার্য্য প্রচলিত ছিল। উড়িষ্যা হইতে কামরূপ পর্যন্ত যখন কালা পাহাড়ের আত্যাচার বিস্তুত হইয়াছিল }, তখন যে বাঙ্গালা দেশের মধ্যভাগ সেই অত্যাচার হইতে নিস্কৃতি পাইয়াছিল তাহা বিশ্বাস হয় না। কিম্বা সে সময়ে মুসলমান কালাপাহাড় হিন্দু দেবদেবী মূর্ত্তিনষ্ট করিয়া লুট পাট করিয়া বেড়াইতেছেন শুনিয়া স্থানীয় ক্ষমতাশালী দুষ্টপ্রকৃতি মুসলমানরা হিন্দুর সম্পত্তি লুণ্ঠন করিয়া দেবদেবীর অঙ্গহানি করিত। পটেশ্বরীর সহচর বৌদ্ধভাবাপন্ন মদনমোহন ও গোবিন্দ দেবের কালাপাহাড়ি ধরণে হাত কাণ কাটা দেখিয়া অনুমান হয় যে, পটেশ্বরীর স্থাপনকর্ত্তা রামরাম ঠাকুর মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের নিকট হইতে গোবরা গ্রাম দান না। পাইয়া তৎপূর্ববর্তী অন্য কোন হিন্দু স্বাধীন রাজার নিকট হইতে ব্রাহ্মোত্তর ।
