পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b. NOV " अश1ावर्ड । ७भ वर्ष-२२० अ९थJ । রাধারণী ( Y ) হাসিমপুরের রামরতন মণ্ডল নিজের দৈহিক শক্তির উপর নির্ভর করিয়া সংসারের যথেষ্ট উন্নতি করিয়াছিল। সে জাতিতে সৎ গোপ। তাহার অন্তঃকরণ উচ্চ আশায় পরিপূর্ণ ছিল এবং সে চরিত্রবলে অনেক লোকের আদর্শস্থানীয় হইতে পারিয়াছিল। গ্রামের দশজন রামরতনের এই অবস্থাপরিবর্তনের অন্যরূপ কারণনিৰ্দেশ করিত। তাহারা প্রায়ই বলাবলি করিত যে, রামসদয় ঘোষের পুরাতন ভিটা হইতে এক ঘড়া টাকা প্রাপ্তি রতন মণ্ডলের সৌভাগ্যের কারণ। টাকায় কি না হইতে পারে ? টাকায় মানুষের বুদ্ধি খুলিয়া যায়—মুখও পণ্ডিত হয় ! সদয় যোষ রামরতনের বন্ধু ছিল। সংসারে তাহার কেহ না থাকায় মৃত্যুকালে সে রামরতনকে পূৰ্বপুরুষের প্রতিষ্ঠিত শালগ্রাম শিলা ও কয়েক বিঘা দেবোত্তর জমী দিয়া যায় । এককালে উক্ত সদয় ঘোষরা খুব সম্পন্ন গৃহস্থ ছিল—বনিয়াদী বংশ সুতরাং সেই ভিটা হইতে এক ঘড়া টাকা প্রাপ্তির কথায় কেহ বড় সন্দেহ কারিত না । রামরতন মণ্ডল কথাটা যে না শুনিয়াছিল, তাহা নহে। কিন্তু সে ইহার কোন প্রতিবাদ করিত না ; বরং দুই এক জন লোককে বলিত, “আমার পরিশ্রমই আমার উন্নতির কারণ - পরের টাকা পাইয়া তাহার দ্বারা ( অদৃষ্টে না থাকিলে ) কি সুখ সৌভাগ্য ক্রয় করা যায় ?” রামরতন তাহার দাদাঠাকুর বা পুরোহিতের নিকট সন্ধ্যাকালে প্রায়ই বটতলার রামায়ণ মহাভারতাদি গ্রন্থ শ্রবণ করিত এবং তাহার অনেকাংশ সে আয়ত্ত করিতেও পারিয়াছিল। তাহারই ফলে সে কোন কোন ঘটনায় ঐ সকল গ্রন্থের উপমা প্রয়োগ করিতে অভ্যস্ত হইয়াছিল । সংসারে রামরতন মণ্ডলের স্ত্রী, তাহার বৃদ্ধ মাতা এবং পাঁচ বৎসরের একটি কন্যা ছিল। ইহা ব্যতীত গৃহে কৃষিকার্যের জন্য দুইজন তাহারই স্বজাতীয় কৃষাণ এবং গরুগুলির তত্ত্বাবধানজন্য একজন রাখাল ছিল । অনেক বয়স পর্য্যন্ত রামরতনের সন্তান হইল না দেখিয়া তাহার বৃদ্ধ মাতা খুবই দুঃখিত ছিলেন এবং স্থানীয় কোন ভদ্র পরিবার বৃন্দাবনে দেবদর্শনে যখন গমন করেন, সেই সময়ে বৃদ্ধ তাহদের হস্তে দশটি টাকা দিয়া বিশেষ করিয়া বলিয়া দেন, ইহাতে যেন শ্রীকৃষ্ণের ভোগ দেওয়া হয়-উদ্দেশ্য