পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

०१२ यशोद6 । ৩য় বর্ষ-৩য় সংখ্যা । নেশ টুটিল, স্বপ্ন ছুটিল। সে ক্ষুদ্র কথার এমন কি শক্তি ? সে কথা পরে বলিতেছি । 臀 晕 তখন গোধূলি ; দিগন্তস্পর্শী নিম্প্রতি তপনের সুবর্ণকিরণ বক্র ভাবে পতিত छहेशा झुकीर्ष, গৃহচ্যুড়া, পর্বতশিখর, অদুরস্থিত স্বল্পাতোয় স্রোতস্বতীবক্ষ সুবর্ণরাগে রঞ্জিত কারিয়াছে। দীপ যেমন নিবিবার পূর্বে জ্বলিয়া উঠে. তেমনই তমসাচ্ছন্ন হইবার পূর্বে বসুধা সুন্দরী যেন একবার মুনিজনমনোলোভা রক্তিমরাগে উজ্জ্বলে মধুর হাসি হাসিয়া লইতেছিলেন। চিরবসন্ত-বিরাজিত ওয়ালটেয়ার ষ্টেশনের প্লাটফর্ম্মে দাড়াইয়া জনৈক বন্ধুসহ কলিকাতা হইতে আগত মাদ্রাজি মেলের আগমন প্রতীক্ষা করিতেছিলাম। অল্পদুরস্থিত সমুদ্রচুম্বিত সুখশীতল মৃদু পবন শ্রান্তি ক্লান্তি হরণ করিয়া, সন্তাপ প্রশমিত করিয়া মানব-হৃদয়ে বিশ্রামের এক অপূর্ব সুখস্বপ্ন জাগাইয়া তুলিতেছিল। গাড়ী আসিয়া পৌছিবার কিঞ্চিৎ বিলম্ব ছিল, তাষ্ট বহিঃসৌন্দর্ঘ্যের প্রতি ক্ষণিকের জন্য আকৃষ্ট হইয়াছিলাম। সেই স্তন্ধ স্নিগ্ধ প্রকৃতির মনোলোভা অনন্ত লাবণ্য, যাহার অনুভূতি আছে সে উপভোগ না করিয়া থাকিতে পারে না । কিছুক্ষণপরে ট্ৰেণ আসিল। দ্বিতীয় শ্রেণীর “রিজার্ড” প্রকোষ্ঠ হইতে এক স্বারস্বত ক্ষত্রিয় যুবক কিশোরী ভগিনীর হাত ধরিয়া নামিয়া আসিলেন। আমরা তঁহারই প্রতীক্ষা করিতেছিলাম । পশ্চাতে তঁহাদের বর্ষীয়সী। জননী প্রবীণা পরিচারিকার সহিত যান হইতে অবতরণ করিলেন । সেই গোধূলির রক্তিম সুর্য্যের কনককিরণে পরিণতাবয়ব যুবকের তেজোদীপ্ত মুখমণ্ডল উজ্জ্বলতর দেখাইল ;--সেই অনিন্দ্যসুন্দরী কিশোরীর স্নেহসিন্ধ, কুসুমপেলাব, কমনীয় মুখখানিতে হেমকিরণছটা প্রতিফলিত হইয়া বড় সুন্দর দেখাইল। তাহাতে চাঞ্চল্য নাই, চপল তা নাই ; কৌশল নাই, কুটিলতা নাই ; স্থির, ধীর, স্নিগ্ধ, রম্য, ক্রমবৰ্দ্ধনশীল স্মৃফুটনোমুখ cयोदन७यंठिख्छ । বন্ধু তঁহাদের পুর্বপরিচিত ; অঙ্গুলিসঙ্কেতে দেখাইলেন;- “দেখুন, মূর্ত্তিমান সরলতা মূর্ত্তিমতী মাধুরীসমভিব্যাহারে দাক্ষিণ্য পরিচালিত হইয়া কোন এক গৃঢ় উদ্দেশ্যসাধন করিতে এই স্বাস্থ্য-তীর্থে আসিয়া উপনীত হইলেন ।”