পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১৩১৯ । ঐতিহাসিক যৎকিঞ্চিৎ ৷ S ግd: প্রেরণ করেন। ওয়াংহিউএনসি ৩০ জন অশ্বারোহীসহ এই দলের অধিনেতা হইয়া ভারতে পুনরাগমন করেন। ৬৪৮ খৃষ্টাব্দে তাহারা ভারতে উপনীত হয়েনি। কিন্তু তৎপূর্বেই ভারতসম্রাট হর্ষবৰ্দ্ধানের সাম্রাজ্যলীলার অবসান হইয়াছে ; এবং তৎসহ অরাজকতার তাণ্ডব নৃত্যে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা তিরোহিত হইয়াছে। তখন অরুণাশ্বনাম জনৈক উদ্ধত প্রকৃতি রাজমন্ত্রী হৃতিশক্তি সিংহাসনে বিরাজিত। চীন রাজদূত মগধে উপনীত হইয়া ভারতের রাজনৈতিক চক্রনেমীর এইরূপ অচিন্ত্যপূর্ব পরিবর্তন সন্দর্শন করিয়া একান্ত ব্যথিত হয়েন। রাজ্যাপহারী অদুরদর্শী নবীন সম্রাট চীন রাজদূতকে দাসু্য তস্করের মত অভ্যাথিত করিলেন। ওয়াংহিউএনসির অনুচরবৃন্দ নিষ্ঠুরভাবে নিহত হইল । তাহাদের যথাসর্বস্ব রাজেঙ্গিতে বিলুষ্ঠিত হইল । সৌভাগ্যক্রমে ওয়াংহিউএনসি কতিপয় মাত্র সহযাত্রীসহ রাত্রিযোগে নেপালে পলায়ন করিয়া প্রাণ রক্ষা করিলেন । ওয়াংহিউএনসি এই অবমাননার প্রতিশোধ লইবার জন্য কৃতসঙ্কল্প হয়েনি। রাজনৈতিক সুযোগও র্তাহার মনোবাঞ্ছা পূরণের অনুকুল প্রতীয়মান হয়। এই সময় ইতিহাস প্রখ্যাত মহাবীর স্রং-শানি-গাম্পো তিকবিতের সিংহাসন অলঙ্কত করিতেছিলেন। ইনি ৬৩৯ খৃষ্টাব্দে তিব্বতের রাজধানী লাসা নগরী সংস্থাপিত করেন ; এবং ভারতীয় পণ্ডিতদিগের সহায়তায় তিববতীয় বর্ণমালার উদ্ভাবন করেন। নেপালরাজ অংশু বর্ম্মনের কন্যা ভ্রকুটি দেবীর সহিত ইহার বিবাহ হয়। প্রবলপ্রতাপ চীন-সম্রাটও বলদৃপ্ত তিব্বত-রাজের বিজয় চমুর প্রবল পরাক্রমে অভিভূত হওয়ায় সম্রাটদুহিতা ওয়েন চেং তিববত রাজমহিষীরূপে বৃত হয়েন । এই খ্যাতনামা রাজমহিলাদ্বয় অর্থদক্ষ বৌদ্ধ ছিলেন। তঁহাদের ঐকান্তিকী চেষ্টা তিব্বতের ইতিহাসে নবযুগ আনয়ন করিয়াছিল। আজিও তিব্বতের বৌদ্ধগণ র্তাহাদিগকে “হরিৎ তারা” ও “শ্বেত তারা” বলিয়া সম্মান প্রদৰ্শন করিয়া থাকেন । এইরূপে ধর্ম্ম এবং বৈবাহিক বন্ধনে নেপাল, তিববত এবং চীন সাম্রাজ্য এক রাষ্ট্ৰীয় সুত্রে গ্রথিত হইয়াছিল । সুতরাং পলায়িত চীন রাজ-দূত সহজেই তিব্বত ও নেপাল রাজের সাহায্য লাভে কৃতকার্য্য হইতে পারিলেন। ভারতের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা তাহার প্রতিহিংসাবৃত্তি চরিতার্থ করিবার উপযুক্ত অবসর প্রদান করিল। তিব্বতরাজ এক সহস্ৰ অশ্বারোহী সৈন্য প্রদান