পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मभद्ध (दशमें । SAY করিয়া ধনসম্ভার লইয়া সাৰ্দ্ধনায় প্রত্যাবর্ত্তন কৰিল । বেগম সপত্নীপুত্রের নিকট বন্দী হইলেন । লুভাসুলতের মৃতদেহ সাৰ্দ্ধনায় নীত হইয়া তিন দিন পথিপার্শ্বে পতিত রহিল। কেহ তাহার সৎকার করিল না। শব্ব পশুপক্ষীর খাদ্য হইল ও অবশিষ্ট অংশ পয়ঃপ্রণালীতে নিক্ষিপ্ত হইল। বেগম বন্দিভাবে সাতদিন অনশনে কামানে বন্ধ রহিলেন । র্তাহার অপমানের ও নির্য্যাতনের অন্ত রহিল না । কোন বিশ্বাস্তা পরিচারিকা গোপনে মধ্যে মধ্যে কিছু আহার্য্য ও পানীয় না দিলে বেগমের মৃত্যু হইত। জনরব, স্বামীর ব্যবহারে সৈন্যদলে বিদ্রোহ অনিবার্য্য দেখিয়া বেগম এই আত্মহত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র করেন। সিম্যানের পুস্তকের সম্পাদক ভিনসেন্ট স্মিথ এই জনরবে বিশ্বাস করিলেও জিম্যান স্বয়ং ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করেন নাই। সিম্যান যখন এ দেশে ছিলেন, তখনও বেগম। জীবিত ; জিম্যান এই অসাধারণ মহিলার দর্শনের আশায় যাত্রা করিয়াছিলেন ; কিন্তু বেগমের মৃত্যুতে র্তাহার সে ইচ্ছা ফলবতী হয় নাই। এ অবস্থায় সিম্যানের কথাই বিশ্বাসযোগ্য বিবেচিত হয়। কীনও এই জনরব সত্য বলিয়া বিশ্বাস করেন না । কম্পটন যদিও বলেন, বেগম অনিচ্ছায় ছুরিকা লইয়া আপনার বক্ষে সামান্য আঘাত করিয়াছিলেন, তথাপি তিনি এই ষড়যন্ত্রের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেন নাই। পূর্বেই বলিয়াছি লুভাসুলতের সহিত বেগমের বিবাহের সাক্ষিদ্বয়ের মধ্যে সালুর অন্ততর। সালুর বেগমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগ দেন নাই। এক্ষণে বেগমের দুৰ্দশায় ব্যথিত হইয়া তিনি টমাসকে সংবাদ দিলেন। টমাস পূর্বব্যবহার বিস্মৃত হইয়া বেগমকে উদ্ধার করিতে প্রস্তুত হইলেন। এদিকে বেগমের বিদ্রোহী য়ুরোপীয় সেনানায়কগণ র্তাহার সপত্নীপুত্রকে সাৰ্দ্ধনার সিংহাসনে বসাইয়া আমোদে মত্ত ছিলেন। টমাস। তঁহাদিগকে সংবাদ পাঠাইলেন যে, বেগমের সপত্নীপুত্রকে একান্ত অকর্ম্মণ্য জানিয়া সিন্ধিয়া শীঘ্রই সাৰ্দ্ধনার সেনাদলকে বিদায় দিবেন ও জায়গীর বাজেয়াপ্ত করিবেন। তাহা হইলে তঁহাদেরই কর্ম্ম যাইবে। এই কথায় তাহদের চৈতন্যোদয় হইল। আবার টমাসও সসৈন্তে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তখন আবার বেগমকে প্রভু স্বীকার করিয়া প্রায় তিন শত য়ুরোপীয় । কর্ম্মচারী এক অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করিলেন। সালুর ব্যতীত আর সকলেই “ঢেরা সহি” করিলেন। সালুরই সেনাপতি নিযুক্ত হইলেন । সিন্ধিয়ার যে কর্ম্মচারী সেনাদলের ও জায়গীরের ভার লাইতে আসিয়াছিলেন, তিনি সাৰ্দ্ধৈক