আর্য্যাবর্তী। - ১ম বর্ধ-৩য় সংখ্যা। مهاباد প্রজ্ঞাপারমিত । “আর্যাবর্ত্তে’ প্রজাপারমিত দেবীর যে মূর্ত্তির প্রতিকৃতি প্রকাশিত হইল, তাহা মালদহ ও রাজসাহীর সংযোগস্থলে গাঙ্গর গ্রামে এক মৎস্যজীবীর গৃহে বহুকাল বিরাজ করিতেছিল। প্রায় এক বৎসর হইল ইহা আমার হস্তগত হইয়াছে। গাঙ্গুর গ্রাম সম্ভবতঃ কোন সময়ে পাল রাজগণের রাজধানী ছিল । এখানে বিবিধ প্রকারের বুদ্ধমূর্ত্তি ও অন্যান্য দেবদেবীর মূর্ত্তি বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে এবং ভগ্ন প্রাসাদেরও নানারূপ চিহ্ন বিদ্যমান আছে। গাঙ্গুর নাম আমাদের নিকট সুপরিচিত। বেহুলা স্বামীর শিব লইয়া গাঙ্গুর নদীতে ভাসিয়া গিয়াছিলেন । এই গ্রাম কি সেই নদীর তীরে অবস্থিত ছিল ? ? মূর্ত্তিসম্বলিত সমগ্র প্রস্তরখানি ৩১ ইঞ্চি দীর্ঘ এবং ১৫ ইঞ্চি প্রশস্ত। কেবল মূর্ত্তিটি ১৮ ইঞ্চি দীঘ এবং ১২ ইঞ্চি প্রশস্ত। প্রস্তর ফলকের নিয়ে একটি কীলক আছে। মূর্ত্তির দক্ষিণে হয়গ্রীব এবং বামভাগে তারা। পাদপীঠে দক্ষিণ দিকে দুইটি ভক্ত। উৰ্দ্ধে পঞ্চাধ্যানী বুদ্ধ এবং মূর্ত্তির দক্ষিণে ও বামে প্রস্তরফলুকে ভুজঙ্গধর সচষ্ণু শিখী এবং সিংহ ও অশ্ব উভয়ের আকৃতি যুক্ত জন্তু বিশেষের চিত্র ক্ষোদিত । উৰ্দ্ধতম ধ্যানী বুদ্ধের নিম্নে সিংহমুখ । ইহা দেবীর অভিষেক-নিমিত্ত ফোয়ার স্বরূপে কল্পিত হইয়া থাকিবে । প্রজ্ঞাপারমিতা দেবী বিকশিত শতদলে আসীনা ৷ ইনি দ্বিভূজা-এক হস্ত ত্যাগ ও বরদানের সঙ্কল্পে অৰ্দ্ধ প্রসারিত। অপর হস্তটি ভগ্ন হইয়াছে কিন্তু তাহা যে সমৃণাল বিকাশেমুখ পদ্ম কুসুমটি ধারণ করিয়াছিল, তাহা দৃষ্ট হইতেছে। দেবীর কিরীটি ভগ্ন হইয়াছে কিন্তু তদীয় শিরের জ্যোতির্ম্ময় পরিবেষ্টন রহিয়াছে। বিশেষজ্ঞগণের মধ্যে র্যাহারা এই মূর্ত্তিটি দেখিয়াছেন, তাহারা অ ইহা খৃষ্টীয় অষ্টম কি নবম শতাব্দীতে নির্ম্মিত হইয়াছিল। ইহা মাগধ ক fois འཁོན་བཨ)འང་ ও ওষ্ঠা ধরে চীন শিল্পাদশের কিঞ্চিৎ চিহ্ন বিদ্যমান। ভারতীয় পরীক্টরী যুঞ্জের মূর্ত্তিগুলির সঙ্গে এই শ্রেণীর মূর্ত্তির একটু বিভিন্নতা আছে। পরবর্তী ভাষ্ঠীগণ 匣 অলঙ্কারপ্রিয় হইয়া পড়িয়াছিলেন। তাহারা বিগ্রহের কণ্ঠাবলী হািণ্ঠ বাহুর অঙ্গদ, কািটর মেখলা ও পরিধেয় বস্ত্রের নানা অপূর্ব ভঙ্গী ক্ষোদিত কুরিতে যেরূপ যত্ন প্রদৰ্শন করিতেন, বিগ্রহের দেবভাব রক্ষণ করিতে ততটা প্রয়াসী হইতেন না। ভারতীয় কলা-শিল্পের প্রধান বিশেষত্ব এই যে, শিল্পিগণ ধ্যানের ভাব ধারণা করিতে পারিতেন। তাহারা বিগ্রহে কেবল মানুন্থেয় un
