शैiभूऊखे। १ ' श्8० পাত্রে নানাবিধ কীটাণুর উৎপত্তি হয়। ইহাতে প্রমাণ হয় যে, বায়ু উত্তপ্ত না করিয়াও রাসায়নিক প্রক্রিয়া-দ্বারা কীটাণু, বজ্জিত করা যায়। ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে সানও পরীক্ষায় এইরূপ ফললাভ করেন। তিনি প্রতিপন্ন করেন যে, পচ্য । পদার্থকে গলিত খনিজ পদার্থের উত্তাপে উত্তাপিত বায়ুতে রাখিলে কীটপু উৎপন্ন হয় ? না । ইহাতে র্তাহার প্রতীতি জন্মে যে, বায়ুতে পচনক্রিয়ার কারণ নিহিত আছে। কেহ কেহ ইহাতে এই আপত্তি উত্থাপিত করেন। যে, সুলজের ও সানের পরীক্ষিত বায়ু রাসায়নিক ও ঔত্তাপিক কারণে বিকারগ্রস্ত হওয়াতেই কীটপু উৎপন্ন হয় নাই। এইজন্য নীডহ্যামের মতে লোক তেমন আস্থা স্থাপন করে নাই। ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে স্রোডার ও ভ্যানডুস পরীক্ষাদ্বারা প্রমাণ করেন যে, বায়ুর রাসায়নিক ও ঔত্তাপিক পরিবর্তন সংঘটিত না করিয়াও পচন নিবারণ করা যায়। বায়ুকে তুলার ভিতর দিয়া শুদ্ধ করিয়া লইলে পচন নিবারিত হয়। শেষে ১৮৬০ খষ্টাব্দে হজ্ব ম্যান ও ১৮৬১ খষ্টাব্দে সেসিনিন ও পাস্তুর প্রতিপন্ন করেন যে, তুলার মধ্য দিয়া বায়ু পরিশুদ্ধ না করিয়াও পচন নিবারণ করা যায়। কোন দ্রব্যকে বক্রমুখ কীটপুবর্জিত-sterile-কাচপাত্রে রাখিলে औबांधू द द= মুখের নিমে পতিত হয় ও পচন নিবারিত হয়। এইরূপে স্বতঃজননের বিরুদ্ধ মত পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হইলেও স্বতঃজননমতের পক্ষাবলম্বীরা নানারূপ যুক্তি উত্থাপিত করিতে লাগিলেন। র্তাহারা বলিলেন, উত্তাপ-প্রয়োগ-হেতু জলের স্বাভাবিক গুণ বিনষ্ট হয়, এবং সেই জলে অপরিশুদ্ধ বায়ু প্রবিষ্ট হওয়ায় পচনক্রিয়া আরব্ধ হয় । বার্ডন, স্যাণ্ডারসন ও লিষ্টার প্রমুখ কীটাপুবিদগণ বিশেষরূপ পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণ করেন যে, রক্ত, মূত্র ও দুগ্ধ কীট খুবর্জিত কাচপাত্রে ঢালিবার সময় যদি তাহাণ্ডে বাহিরের বায়ু স্পর্শ হইতে দেওয়া না যায়, তবে পচন। নিবারিত হয়। এইরূপ মতবাদ ও বাদানুবাদ-কালে আর এক সমস্ত উপস্থিত হইল। দেখা গেল, কোন দ্রব্য বিশেষরূপ সিদ্ধ করিয়া কাচপাত্রে উত্তমরূপে আবদ্ধ করিয়া রাখিলেও কীটপুর উৎপত্তি হয়। ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে ব্যাসটিয়ান কীটপুর স্বতঃজননমতের সমর্থন করিয়া এক পুস্তিকা প্রচার করিলেন।. , শালগম ও পানীরের কােথ পরিশ্রুত করিয়া দশ মিনিট সিদ্ধ করিবার পর কোন পাত্রে ছিপিবন্ধ করিয়া রাখিলেও উহাতে কীটাণুর উৎপত্তি হয়। ইহার কারণ এই যে, সিদ্ধ করাতে কীটাৰু বিনষ্ট হইলেও কাঁটাগুৰীজ (spore) নষ্ট হয় না।
