পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

affiግዔ ›oነፃ ८ ।। ३७१ সন্থল অরণ্যে আবৃত হইয়া গিয়াছে, কত দীর্ঘ দীর্ঘকা জলজগুলো পূর্ণ হইয়াছে, কত দেবমন্দিরের অম্বরচুৰী চুড়া ধূল্যবলুষ্ঠিত হইয়াছে। তখন বাঙ্গালার মৃত্তিকায় কত কবির, কত ধর্ম্ম-সংস্কারকের, কত বীরের, কত রাজনীতিকের, কত পণ্ডিতের, কত শিল্পীর চিতাভস্ম মিশাইয়া গিয়াছে। তখন বাঙ্গালার নদী বহিয়া কত পণ্যদ্রব্যপূর্ণ তরণী দেশে দেশে ধনসংগ্রহ করিতে গিয়াছে। তখন বাঙ্গালার প্রান্তর কত সৈন্যের রক্তে রঞ্জিত হইয়াছে। তখন বাঙ্গালার পল্পী কত শিল্পকীর্ত্তিতে শোভিত হইয়াছে। তখন বাঙ্গালার সমাজের স্তরে স্তরে কত পরিবর্তনপ্লাবনের পলী সঞ্চিত হইয়াছে। তখন বাঙ্গালীর জীবনে কত পণ্ডিতের প্রভাব পরিস্ফুট হইয়াছে। পলাশীর যুদ্ধ দেড়শত বৎসরের ঘটনা ; কিন্তু বিষ্ণুপুরের যে রাজগণ মল্লােব্দ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন, তাহাদিগের মন্দিরগাত্রে উৎকীর্ণ লিপি প্রায় তিনশত বৎসরের (১৬২২ খষ্টাব্দের)। বাঙ্গালার স্থাপত্য বাঙ্গালার বিশেষত্বব্যঞ্জক, বাঙ্গালার সাহিত্য বাঙ্গালীর নিজস্ব। এই শিল্প ও এই সাহিত্য বাঙ্গালার মফঃস্বল শোভিত করিয়াছিল, বাঙ্গালার পল্লীতে উৎপন্ন হইয়াছিল। পূর্বে বাঙ্গালায় ধনবানগণ জলাশয় ও রাজপথ প্রস্তুত করাইয়া পুণ্যসঞ্চয় করিতেন। সেই প্রাচীন কীর্ত্তির অবশেষ আজও বঙ্গের সর্বত্র বিদ্যমান । আলোচ্য গ্রন্থেও সেই সকল কীর্ত্তির পরিচয় পাওয়া যায়। কেদার রায় চাচুরতলার নিকটে যে গৃহ নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন সেই “রাজবাড়ীর অনতিদূরে ‘কেশার মারা দীঘী” নামে এক বৃহৎ জলাশয় ছিল। প্রবাদ, কেশা অথবা, কেশবের মাতা, পতি-পুত্রহীন হইয়া, পতিকুলের প্রভু চাদরায়ের আশ্রয়ে থাকিয়া জীবন যাপন করে । * * * * কেদার রায় জন্মগ্রহণ করিলে BBBBSS SBD DDD DDDB EBBB DDB DBDSLDD KBDD sgDBS পালনভার তৎকরে ন্যস্ত করেন। কেদার রায় বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হইলে পর, ধাত্রীর ইচ্ছানুসারে এই বৃহৎ জলাশয় খনন করাইয়া তদ্বারা উৎসর্গ করাইয়াছিলেন। এই নিমিত্ত ইহার নাম হয়, “কেশার মার দীর্ঘী” । আরও প্রবাদ, কেশার মা যতদূর হাটিয়া যাইতে পরিবে, ততদূৱ পর্যন্ত এই সরোবর খনিত হইবে বলিয়া কেদার রায় প্রতিশ্রত হন। তদনুসারে ধাত্রী প্রায় ১ মাইল ব্যাপী স্থান হঁটিয়া অতিক্রম করার পর অন্য কর্তৃক বাধা প্রাপ্ত হইয়া ক্ষান্ত হয়। এজন্য দীঘীও এক মাইল ব্যাপী স্থান ব্যাপিয়া খনিত হইয়াছিল। অস্থাপি উহার ভগ্নাবশেষ বর্ত্তমান রহিয়াছে।” কাচকির দরজা রায়দিগের আর এক কীর্ত্তি। “উহা এক বৃহৎ রাথ্যা-ইদিলপুরের নিকটস্থ বুড়ীরহাট ও দেওভোগ