পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৪৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(GtSR আর্য্যাবর্ত্ত । - N বৈজ্ঞানিকের পরিচয় । অনেকেই বলিয়া থাকেন যে, বিজ্ঞান জগতের জড় ও আসার পদার্থ লইয়াই ব্যস্ত, বৈজ্ঞানিক জড় জগতের উন্নতির উপায় উদ্ভাবন করিতে করিতেই জীবন কাটাইয়া দেন। এই ধারণা ভ্রমাত্মক ! প্রকৃত বৈজ্ঞানিক কাহাকে কহে এবং প্রকৃত বৈজ্ঞানিকের কি ধর্ম্ম, ইহাই প্রথমে বিবেচ্য। জগতে যাহা দেখা যায় বা অনুভব করা যায়, তাহার মূলকারণানুসন্ধানই বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য। বৈজ্ঞানিক, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হইতে আরম্ভ করিয়া বৃহৎ ঘটনার কারণানুসন্ধান করিতে করিতে অবশেষে মৌলিক তত্বে উপনীত হইবার চেষ্টা করেন, এবং ঐ সকল তত্ত্বের দ্বারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যাবতীয় ঘটনাগুলি বুঝাইয়া দেন। জগতের সারা সত্যে উপনীত হওয়াই তাহার একমাত্র লক্ষ্য। ঐ জ্ঞানলাভ করিবার অন্য উপায় থাকিতে পারে ; কিন্তু প্রকৃতির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাগুলি যে একই মহৎ সতোর নিয়মানুসারে চালিত হইতেছে, তাহা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা দ্বারা দেখাইয়া সেই সত্যের ভিত্তি ষেরূপ দৃঢ় করিতে পারা যায়, আর কোনও উপায় দ্বারা সেরূপ করিতে পারা যায় না। বৈজ্ঞানিক তাহার আবিষ্কৃত সত্যের প্রতিষ্ঠার জন্য সেরূপ যুক্তি দেখাইতে পাৰিবেন, অন্য কোন উপায় দ্বারা সেরূপ যুক্তিপ্রদর্শন সম্ভব নহে। এ সম্বন্ধে অধিক কিছু বলিবার পূর্বে সত্যানুসন্ধানে বিজ্ঞান কত দূর অগ্রসর হইয়াছে, তাহার কিঞ্চিৎ আভাস দিলেই ঐ মহৎ সঙ্কল্প কার্য্যকারী করার পক্ষে বিজ্ঞানের বিশেষত্ব প্রমাণিত হইবে। বৈজ্ঞানিকগণ সপ্রমাণ করিয়াছেন যে, জড় ও শক্তি পৃথক পৃথক ভাবে থাকিতে পারে না। জড়পদার্থমাত্রই শক্তির আধার। একটা ক্ষুদ্র ইষ্টকখণ্ডের মধ্যেও শক্তি নিহিত আছে। ঐ শক্তি সময় ও অবস্থাবিশেষে প্রকাশিত হইতে পারে, এবং বাহুবিস্তুর উপর। কার্য্য করিয়া আপনার অস্তিত্ব প্রমাণ করিতে পারে। এইরূপ একটি ক্ষুদ্র ইষ্টকখণ্ড হইতে আরম্ভ করিয়া, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল বস্তুতেই অড় ও শক্তি অভিন্ন ভাবে গ্রথিত । এই ব্রহ্মাণ্ড জড়ের ও শক্তির একটি বৃহৎ সমষ্টি ।