भांश, ১৩১৭ ৷৷ ऊ প্রসঙ্গ ৬৬১ : সেই অর্থে সর্বদাই ব্যবহার করিতেন ; অথচ সংস্কৃত ভাষায় কুত্রাপি সমারোহ' ও ' অর্থে ব্যবহৃত হয় না,-ও কথায় ও অর্থ হইতেই পারে না ; উহা একেবারে ঘু “একটিবার আমার স্মরণ হয় যে, সাধারণ কথাবার্ত্তার মধ্যে তিনি একটি বড় গোছের সংস্কৃত কথা ব্যবহার করিয়াছিলেন,-কথাটি ‘স্বরূপ যোগ্যতা ।” এই শব্দটি ন্যায়-শাস্ত্রের ভয়ানক কঠিন একটি পরিভাষিক শব্দ ; ইংরাজীতে ইহার অর্থ এইরূপ করা Ri-Fitness perse I C উপলক্ষে তিনি এই কথাটি ব্যব- , হার করিয়াছিলেন সেটি এই ;-একদিন আমি তাহার সঙ্গে বসিয়া গল্প করিতে ছিলাম, এমন সময় দ্বারবান আসিয়া তাহার হাতে একখানা চিঠি দিল। চিঠিখানি পড়িয়া তিনি আমাকে বলিলেন, ‘প্রসন্নকুমার ঠাকুর আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। দেখ, আমরা এক দেশের লোক, এক জাত, এই সহরের ভিতরেই আছি, - তিনি ডেকে না পাঠিয়ে একবার এসে দেখা করলেই পারতেন। সাহেবরা । যদি এই রকম চিঠি দিয়ে আমাদের ডেকে পাঠায় ত যাওয়া উচিত মনে করি ; স্বদেশীর সঙ্গে আসা যাওয়ার স্বরূপযোগ্যতা আছে, সাহেবদের সঙ্গে সেটা নেই।”-অবশ্যই তিনি দেখা করিতে যায়েন নাই। r “আজ কাল একটু আধটু সংস্কৃত ভাষা শিথিয়াই কেহ কেহ সংস্কৃতে কথা কহিতে প্রবৃত্ত হয়, তিনি একেবারেই তাহ পছন্দ করিতেন না । একদিন এক এক হিন্দুস্থানী পণ্ডিত র্তাহার সহিত দেখা করিতে আসিয়া সংস্কৃত ভাষায় কথা কহিতে আরম্ভ করিলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয় হিন্দিতে জবাব দিতে লাগিলেন । আমি কাছে বসিয়া ছিলাম। আগন্তকের ভাষা অশুদ্ধ ও ব্যাকরণদুষ্ট। বিদ্যাসাগর কথা কহিতে কহিতে aside আমাকে বলিলেন—“এ দিকে কথায় কথায়, কোষ্ঠশুদ্ধি হােচ্চে, তবুও হিন্দি বলা হবে না।’ এই ঘটনার অনেক বৎসর পরে নীলাস্বরের বাড়ীতে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে এই হিন্দুস্থানী পণ্ডিতটির কথা আমি স্মরণ করাইয়া দিলে তিনি প্রাণ খুলিয়া হাসিতে লাগিলেন। “তিনি বলিতেন যে, একালে প্রকৃত সংস্কৃত লিখা অসম্ভব, যাহা লিখা যায় সবাই । গোজামিল। কিন্তু আমার মনে হয় যে, ইদানীং যত লোক সংস্কৃত রচনা করিয়াছেন, তন্মধ্যে বিদ্যাসাগরের রচনাই সৰ্বোৎকৃষ্ট—; তিনি ‘উত্তরচরিত, “শকুন্তলাও 'গ্ধজুপাঠ তৃতীয় ভাগের টীকায় স্থলে স্থলে যৎকিঞ্চিৎ সংস্কৃত লিখিয়াছেন। তাহা । অতি সুন্দর, এমন কি প্রাচীন সংস্কৃতের ন্যায় বোধ হয়। “একদিন কালিদাস ও সেক্ষপীয়র সম্বন্ধে তাহার সহিত আলাপ করিতেছিলাম। বিদ্যাসাগর কালিদাসের এমন একান্ত ভক্ত ছিলেন যে, কালিদাস যে কাহারও।