পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ròbir আর্য্য-নারী । গ্রহণ করিয়াছেন, ইহাতে তাহার কোন আপত্তির কারণ নাই। সুতরাং অহল্যার রাজ্যহরণ করিতে তিনি চান না। অন্যায় পূর্বক যাহারা অহল্যার রাজ্যহরণে উদ্ভত হইয়াছেন, অহল্যা তাহাদিগকে ইচ্ছামত দণ্ড দিতে পারেন। পেশোয় তাহাতে क्रके श्रवन नां । পেশোয়ার নিকট এই আশ্বাস পাইয়া অহল্যার উৎসাহ শতগুণে বাড়িল। কর্ম্মচারীরাও পেশোয়ার এ যুদ্ধে সংশ্রব নাই জানিয়া সম্পূর্ণ দ্বিধাবিহীন হইয়া তাহার সাহায্যে প্রস্তুত হইতে লাগিলেন । অঙ্গ তুকোজির অধীনে অহল্যার সকল সৈন্য সাজিল। অহল্যা নিজেও যুদ্ধের বেশে কোমল হাতে অস্ত্র ধরিয়া হাতীর পিঠে চড়িয়া সৈন্যের সঙ্গে চলিলেন। সসৈন্যে অহল্যা ও তুকোজি সিপ্রা নদীর নিকটে আসিয়া ছাউনি করিলেন । অহল্যার সহায় স্বরূপ অন্যান্য রাজারাও নিজ নিজ সৈন্য লইয়া আসিলেন। ' রঘুনাথ সিপ্রা নদীর তীরে আসিয়া অহল্যার যুদ্ধের আয়োজন দেখিয়া স্তম্ভিত হইলেন ; অহল্যার পত্র তিনি বৃথা বাগাড়ম্বর বলিয়া মনে করিয়াছিলেন । এত শীঘ্র যে অহল্যা তঁহার বিরুদ্ধে এত শক্তি ও সহায় লইয়া আসিতে পরিবেন, এ কথা তিনি স্বপ্নেও কখনো মনে করেন নাই। পরাজয়ের আশস্কায় সকল দুরাশা তিনি ত্যাগ করিতে বাধ্য হইলেন। তুকোজিকে সংবাদ পাঠাইলেন—“আমি যুদ্ধের মানসে আসি নাই।