AEy আর্য্য-নারী । যে ভাবে যে কারণেই হউক, ইংরেজরাজপুরুষগণ, রাণী যে বাস্তবিক তঁহাদের পক্ষে, এ কথা বিশ্বাস করিলেন না । নানাসাহেব প্রভৃতির ন্যায়। রাণীকেও তঁাহারা শত্রু বলিয়া মনে করিলেন । রাণীর প্রকৃত উদ্দেশ্য কি ছিল, তাহা বুঝিয়া উঠা কঠিন। ইংরেজের হত্যাকাণ্ডে যে রাণীর সংস্রব ছিল না, এ কথার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। ইংরেজের উপর অসন্তুষ্ট থাকিলেও, নির্দোষ বিপন্ন ইংরেজ নর-নারীকে হাতে পাইয়া নিষ্ঠুর হত্যায় প্রতিহিংসা প্রবৃত্তি চরিতার্থ না করিয়া, উর্তাহাদের রক্ষার জন্য যত্নবতী হইবেন, কোমলহৃদয়া ভারতরমণী রাণী লক্ষনীবাইএর পক্ষে ইহাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইংরেজকৃে যদি তিনি শত্রুও মনে করিয়া থাকেন, তথাপি বিপন্ন শক্রিকে রক্ষা করা এক কথা আর সুযোগ পাইয়া হৃতরাজ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা আর এক কথা । যে ঝাক্ষসী তাহার প্রাণের জিনিষ ছিল, যে ঝাক্ষসী হারাইবার আশঙ্কায় দৃঢ় ও গর্বিত স্বরে ‘মেরি ঝান্সী দেঙ্গে নেহি’ বলিয়া তিনি একদিন ইংরেজরাজপুরুষকে স্তম্ভিত করিয়াছিলেন, যে ঝাক্ষসী হারাইয়া এতদিন তিনি দারুণ মনোকষ্টে দিনপাত করিয়াছিলেন, এমনু সুযোগে সেই বাক্ষসী ফিরিয়া পাইবার ইচ্ছা যে তাহার না হইতে পারে এমন নয় । আবার এই ইচ্ছা সত্ত্বেও বুদ্ধিমতী ও দূরদর্শিনী রাণী ইহাও মনে করিতে পারেন যে, এই সিপাহী-বিদ্রোহে ইংরেজের প্রবল ও সুপ্রিতিষ্ঠিত রাজশক্তি কখনো বিধ্বস্ত হইবে না; এই সব অবস্থার
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৬৭
অবয়ব