পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रावी उदानी । V) e SO মন্দিরে প্রতিদিন পাঁচিশ মণ চাউল বিতরণ করা হইত। বিভিন্ন দেবমন্দিরে যে ভোগ দেওয়া হইত, তাহাতে প্রত্যহ ৪৫ হাজার লোক আহার করিতে পারিত । অন্নসত্রে প্রতিদিন ১০৮ জন সধবা ও কুমারী ভোজন করিতেন এবং প্রত্যেকে একটাকা করিয়া দক্ষিণা পাইতেন। বৃহৎ চৌবাচ্চায় প্রত্যহ ৮ মণ করিয়া ছোলা ভিজাইয়া রাখা হইত। অনাহূত যে কোন লোক ইচ্ছামত এই ছোলা লইয়া খাইত। দরিদ্র, বৃদ্ধ, অনাহুত ও আতুর তীর্থবাসীরা সকলে বাসস্থান ও বৃত্তি পাইত। তাহাদের মৃত্যু হইলে সৎকার ও শ্রাদ্ধও রাণী ভবানীর ব্যয়ে সম্পন্ন হইত। হিন্দুদের মধ্যে এইরূপ প্রবাদ আছে যে, শিবের ত্রিশূলের উপর স্থাপিত প্রকৃত কাশীর আকার ত্রিশূলের ন্যায় এবং ইহার সীমান্ত-রেখার পরিমাণ পাঁচ ক্রোশ । এই জন্য কাশীকে পঞ্চক্রোশী বলিয়া থাকে । কিন্তু এই পঞ্চক্রোশের প্রকৃত স্থান কেহ নির্দেশ করিতে পারিতেন না । রাণী ভবানীর বাসনা হইল, এই পূর্ণ পঞ্চক্রোশের মধ্যে বৎসরের প্রত্যেক দিনের হিসাবে ৩৬৫ খানা বাড়ী নির্ম্মাণ করিয়া তীর্থবাসীদের বাসস্থানের জন্য উৎসগা করিবেন। রাণী ভবানীর ইচ্ছায়, ব্রাহ্মণগণ অনুমানে একটি সীমা নির্দেশ করিয়া দিলেন। রাণী ভবানী এই সীমা ব্যাপিয়া একটি বৃহৎ রাস্তা এবং সীমার মধ্যে ৩৬৫ খানি বাড়ী প্রস্তুত করিয়া তীর্থবাসীদের জন্য উৎসর্গ করিলেন । এই রাস্তার পাশে কিছু দূর অন্তর অন্তর এক একটি করিয়া পিল্লা, কুপ ও বৃক্ষ প্রতিষ্ঠিত হইল। ক্লান্ত ভারবাহী লোকেরা