ঢোঁড়া হয়। ঠকচাচা অধোবদনে চলিতেছে —দাড়ি বাতাসে ফুর২ করিয়া উড়িতেছে —দুটি চক্ষু কট্মট্ করিতেছে —বাঁধন খুলিবার জন্য সার্জন্কে একটা আদুলি আস্তে২ দিতেছে, সার্জনের বড় পেট, অমনি আদুলি ঠিকুরে ফেলিয়া দিতেছে। ঠকচাচা বলে—মোকে একবার মতিবাবুর নজ্দিগে লিয়ে চল—তেনার জামিনি লিয়ে মোকে এজ খালাস দেও —মুই কেল হাজির হব। সার্জন্ বল্ছে —তোম বহুত বক্তা —ফের বাত কহেগা তো এক থাপ্পড় দেগা। তখন ঠকচাচা সার্জনের নিকট হাতজোড় করিয়া কাকুতি বিনতি করিতে লাগিল। সার্জন কোন কথায় কাণ না দিয়ে ঠকচাচাকে নৌকায় উঠাইয়া বেলা দুই প্রহর চারি ঘণ্টার সময় পুলিসে আনিয়া হাজির করিল —পুলিসের সাহেবেরা উঠিয়া গিয়াছে সুতরাং ঠকচাচাকে রাত্রিতে বেনিগারদে বিহার করিতে হইল।
ওদিকে ঠকচাচার দুর্গতি শুনিয়া মতিলালের ভেবা চাকা লেগে গেল। তাহার এই আশঙ্কা হইল এ বজ্রাঘাত পাছে এপর্য্যন্ত পড়ে —যখন ঠক বাঁধা গেল তখন আমিও বাঁধা পড়িব তাহাতে সন্দেহ নাই —বোধ হয় এ ব্যাপার জান কোম্পানির ঘটিত, সে যাহা হউক, সাবধান হওয়া উচিত, এই স্থির করিয়া মতিলাল বাটীর সদর দরওয়াজা খুব কসে বন্ধ করিল। রামগোবিন্দ বলিল —বড়বাবু! ঠকচাচা জাল এত্তাহামে গেরেপ্তার হইয়াছে —তোমার উপর গেরেপ্তারি থাকিলে বাটী ঘর অনেকক্ষণ ঘেরা হইত, তুমি মিছে২ কেন ভয় পাও? মতিলাল বলিল —তোমরা বুঝ না হে! দুঃসময়ে পোড়া শোল মাছটাও হাত থেকে পালিয়ে যায়। আজকের দিনটা যো সো করিয়া কাটাইতে পারিলে কাল প্রাতে