পাতা:আশাকানন.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশাকানন
২৫

যে মৃত্তিকা-রাশি পবনে উড়ায়
কিম্বা অন্যে লয় হরি;
দশ বর্ষে যাহা তুলি আকিঞ্চনে
এক বাত্যাঘাতে নাশে,
না জানি কেন বা অদৃষ্টে আমার
এতই দুর্দ্দৈব আসে;
আর আর দ্বারে দ্বারী হের যত
কেহ না বিত্ন পোহায়,
ধূলিমুঠি করে না করিতে তারা
সোনামুঠি হয়ে যায়;
আমি যদি সোনা রাখি কণ্ঠে গাঁথি,
তখনি সে হয় ভস্ম,
শ্রমের ভাগ্যেতে নাই নাই শুধু,
কিবা অদ্য কি পরশ্ব;
অই যে দেখিছ তব সঙ্গে আশা
কত কি করিবে দান,
বলিয়া আমারে আনিল এখানে
এবে সে দেখ বিধান।”
শুনি চাহি ফিরে আশার বদন
আশা ফিরাইয়া মুখ,
কহে “বৎস, চল যাই ষষ্ঠ দ্বারে,
অদৃষ্টে উহার দুখ।”
ফেলি দীর্ঘশ্বাস চলি আশা-সনে
অগ্রভাগে ষষ্ঠ দ্বার,
হেরি স্তম্ভপাশে ভীম মহাবল
প্রাণী সেথা চমৎকার;
দাঁড়ায়ে চুয়ারে অতুল বিক্রমে
শূন্য পদে আছে স্থির,
করতলে ধরি আকাশ-মণ্ডল,
হুঙ্কার করে গম্ভীর;