পাতা:আশাকানন.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী

সেই ইন্দ্রধনু আছে সেইখানে
দূরেতে দেখিতে পায়।
হাসি নাহি ধরে মধুর অধরে
লুটাইয়া পড়ে ভূমে;
হাত বাড়াইয়া উঠিয়া আবার
ধরিতে ধাইছে ধূমে।
কোন শিশু ধেয়ে ধরে ধনু-অঙ্গ
অমনি মিলায়ে যায়;
আবার ফুটিয়া নূতন নূতন
নয়ন-পথে বেড়ায়।
খেলে শিশুগণ মনের হরষে
সে বাপী-তীরেতে সুখে;
তরুণ তপন সুন্দর কিরণ
ভাতিয়া পড়েছে মুখে;
হাসিছে নয়ন হাসিছে অধর
বদনে ফুটিছে আলো,
না জানি তেমন অমরাবতীতে
আছে কি কিরণ ভালো।
হেরে সে আনন্দ রোমাঞ্চ শরীর
কত চিন্তা করি মনে,
ভাবি বুঝি হেন নিরমল সুখ
নাহি ভুঞ্জে কোন জনে;
ভাবি বুঝি ব্যাস, বাল্মীকি তাপস,
করেছিলা দরশন,
মর্ত্তে স্বর্গপুরী ভুবনে অতুল
আশার স্নেহ-কানন;
তাই সে গোকুলে, তপস্বী-আশ্রমে,
ছড়ায়ে আনন্দরস
গায়িলা মধুর সুললিত হেন
জননী-স্নেহের যশ।