পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট Rs আসিয়া পডিয়াছি বলিয়া তুচ্ছ করিও নী, আমি তোমাদেরই একজন-আমাকে পর उठादि& न।" সেই গদগদ কণ্ঠস্বর ও মর্ম্মান্তিক আবেদনের সুর এখনও 可f{忆可颈 夺忆a বাজিতেছে। ছাত্রগণ র্তাহার কথার ইঙ্গিত বুঝিল, আশুতোর উচ্চ শিক্ষার জন্য কত ত্যাগ করিয়াছেন,-তিলে তিলে জীবনের শ্রেষ্ঠ চিন্তা, শ্রেষ্ঠ কার্য্য ও শ্রেষ্ঠ অংশ দান করিয়া ইনিই প্রকৃত দেশ-সেবায় আত্মনিয়োগ করিয়াছেন । তঁহার বক্ততা তুবড়ীর আগুন নহে, উহা হোমাগ্নি, উহা জীবন ভরিয়া জ্বলিতে প্রতিশ্রুত । সুতরাং আশুতোষ কথায় ব্যবহারে এবং কর্ম্মক্ষেত্রে সর্বত্র ও সর্বদা খাটি ছিলেন। এই অভিনয়ের যুগে তিনি অভিনয় করেন নাই। তিনি প্রকৃত কর্ম্মবীরের ভূমিকা লইয়া বঙ্গদেশে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । যে তেজ ও স্বদেশের সমস্ত বিষয়ের প্রতি অনুরাগের বীজ বিদ্যাসাগর চরিত্রে উপ্ত হইয়াছিল, আশুতোষের জীবনে তাহা সম্যক বিকাশ লাভ করিয়াছিল। স্বদেশবাসীর দ্বারা পরিচালিত উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানের সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠাতা বিদ্যাসাগরের সেই উদ্দেশ্য, অর্থাৎ শিক্ষাবিভাগ সম্পূর্ণরূপে বাঙ্গালীর দ্বারা পরিচালনা,-আশুতোষ বৃহত্তর ক্ষেত্রে সফল করিয়াছিলেন। একজন যে নিঝরের খাদ প্রস্তুত করিয়াছিলেন, অপর সেই খাদে প্রবল ধারা বহাইয়া দিয়া তাহা কুলে কুলে পূর্ণ করিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগরের ব্যক্তিত্ব পারিবারিক ও সামাজিক গণ্ডির মধ্যেই সমধিক পরিমাণে দৃষ্ট হয়। র্তাহার তেজ, চরিত্রের বল, দয়া—এসমস্তই আমরা আদর্শ স্বরূপ গ্রহণ করিতে পারি, কিন্তু উহা স্বীয় জীবনের কর্ম্মক্ষেত্রের মধ্যে আবদ্ধ। তিনি পরীকৃত অপমান সহা করিতে পারেন নাই, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধ হইলে স্বীয় স্বার্থ চিন্তা বিসৰ্জন দিয়া শাল্মলীতরুর ন্যায় দৃঢ় হইয়া দাড়াইয়াছেন। একদা যখন ভোজনে বসিয়া মুখে গ্রাস লওয়ার পরে আবিষ্কার করিলেন, ডালের সহিত একটি আরাশুল তাহার মুখের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে, তখন সকলে যাহা করিত, অর্থাৎ হৈ চৈ করিয়া সেটা মুখ হইতে ফেলিয়া দিয়া বারংবার মুখ প্রক্ষালন করিত, তিনি তাহা * *ািরয়া সেটা আস্ত গলাধঃকরণ করিয়া ফেলিলেন। তিনি বুঝিলেন এই বিষয়টা যদি অপর সকলের বিদিত করিয়া গণ্ডগোল করিতেন, তবে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরা অন্নব্যঞ্জনসহ থালা ফেলিয়া নিমন্ত্রণকারীর সমস্ত ব্যয়-বিধান ও আয়োজন ব্যর্থ করিয়া ‘’লতেন । তঁহার খাদ্যের ক্ষুদ্র অংশে সিদ্ধ আর শুলার অস্তিত্ব পর্য্যবসিত হইয়া গিয়াছিল, অন্যের অংশে তাহা সংক্রমিত হয় নাই—এইটুকু বুঝিয়া তিনি স্বাভাবিক *" প্রচ্ছন্ন রাখিয়া আর শুলাটি গিলিয়া ফেলিলেন। সাধু উদ্দেশ্যে এরূপ স্বাভাবিক *"Thবিজয়ের দৃষ্টােস্ত বিরল। কিন্তু বহুর মধ্যে তঁাহার প্রতিভার বিকাশ দেখা যায়