পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C SS S S S S ੨ ] না। ভবিষ্যতে যাহারা বঙ্গদেশের ইতিহাস লিখিবেন, তঁহার এই গ্রন্থে । এমন অনেক প্রয়োজনীয় মাল-মসলা পাইবেন, যাহা অন্যত্র দুল্লভ। . “বৃহৎ বঙ্গ” বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে লিখিত ইতিহাস নহে-সুতরাং এই | স।।*।। কাঠিতে ইহার বিচার করিলে গ্রন্থকারের প্রতি অন্যায় করা হইবে। গ্রন্থকার ভূমিকায় লিখিয়াছেন—“ঐতিহাসিক কিংবদন্তী বা উপগল্প, তাহার | যে মূল্যই থাকুক না কেন, তাহা “আমি বাদ দিই নাই--এই পুস্তকের : ভাষা হয় ঠিক বিজ্ঞান-সঙ্গত, ওজন-করা, নির্লিপ্ত ঐতিহাসিকের ভাষা হয় নাই । আজ বঙ্গের শশানের উপর দাড়াইয়া বাঙ্গালী লেখক যদি মাঝে মাঝে অতীত গৌরবের কথা স্মরণ করিয়া দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া থাকেন, কিংবা কিছু বিচলিত হইয়া উচ্ছাস প্রকাশ করিয়া থাকেন—তবে আশা করি। তিনি ঐতিহাসিকগণের ক্ষম হইতে বঞ্চিত হইবেন না । বিশেষতঃ এই পুস্তক শুধু ঐতিহাসিকগণের জন্য লিখিত হয় নাই, বঙ্গের জনসাধারণের মধ্যে স্বদেশ-গ্রীতি জাগ্রত করা আমার অন্যতম লক্ষ্য । নীরস ও শুষ্ক গবেষণায় তাহারা আকৃষ্ট হইবে না-এজন্য যদি রস-সঞ্চারের অভিপ্রায়ে ভাষার মাঝে মাঝে কিছু রং ফলাইতে চেষ্টা করিয়া থাকি, তাহাতে আমি লক্ষ্য ভ্রষ্ট হইয়াছি বলিয়া মনে হয় না ।” ( পৃঃ ১৮৩/০ ) “রহৎ বঙ্গের” সমালোচনা করিতে অথবা ইহার প্রকৃত স্বরূপ ও মূলা কি বুঝিতে হইলে উদ্ধত কথাগুলি বিশেষভাবে স্মরণ করিতে হইবে। *ি*াধ জীবনের অধ্যয়ন ও অনুসন্ধানের ফলে গ্রন্থকার বঙ্গদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা-সম্বন্ধে যেখানে যাহা কিছু পাইয়াছেন, তাহা সংগ্রহ করিয়া পাঠককে উপহার দিয়াছেন। প্রতিপদে বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে কষ্টপাপর্বে মৃণ্য যাচাই করিয়া অথবা সূক্ষ্য বিশ্লেষণ দ্বারা সত্য মিথ্যার নিদ্ধারণ করিয়া ' *** অগ্রসর হন নাই। সুতরাং তঁহার কোন কোন মত অগ্রাহ্য হইবে*ান কোন মত গ্রাহা হইবে—তাহাব বিচারের ভার ভবিষ্যৎ ঐতিহাসিকের ट्यु छे ছাড়িয়া দিয়াছেন। তিনি স্পষ্টই বলিয়াছেন “আমার এই পুস্তক ভাবী • ঐতিহাসিকগণের পক্ষে একখানি পাদপীঠরূপে গণ্য হইলে ধন্য হইব ।” গ্রন্থরচনার প্রণালী সম্বন্ধে আলোচনা করিলাম। অতঃপর এই গ্রন্থে যে সমুদয় বিষয় আলোচিত হইয়াছে তাহার সংক্ষিপ্ত পরিচয় gिङ 6bछे। Q. لحہ 8