পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ δα আশুতোষ-স্মৃতিকথা “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে’র বিশেষ প্রশংসা করিতেন, এজন্য পুত্রের কাছে ও আমার খুব খাতির ছিল। 影 তিনি সেইদিন আমার কঁধ ধরিয়া অনর্গল বকিয়া যাইতে লাগিলেন,- কত যে গোলা-গুলি ও বোমা আশুবাবুর বিরুদ্ধে বৰ্ষিত হইতে লাগিল, তাহার ইয়ত্তা নাই। সে সমস্ত ব্যক্তিগত আক্রমণ, সেগুলি কুটো কথা,- কিন্তু যেন ইট-পাটুকেলে তঁহার থলিয়াটি পূর্ণ ছিল। প্রত্যেক কথার শেষে আমাকে সায় দিতে বলিতে লাগিলেন । আমি বলিলাম-“আপনার মতিভ্রম হইয়াছে। আপনার মহোপকারী এতাদৃশ বন্ধুর বিরুদ্ধে আপনি এই প্রকাশ্য পথে তারস্বরে কি বকিয়া যাইতেছেন ? এগুলি কি বিশ্বাসা,- এগুলি কি আপনার মত লোকের বলা যোগা ?” আমার কথায় তিনি বিরক্ত হইয়া আমার কাধে একটা ঝাকি দিয়া দ্রুত বেগে চলিয়া গেলেন,-এমন জোরে ঝাকি দিয়াছিলেন যেন আমার মনে হইয়াছিল যে, কঁধে spraim হইয়াছে। সেই দিনই বুঝিলাম, এই ঘটনাটি একটি আসন্ন ঝড়ের চিহ্ন ; কথাটা ভাল নহে। কিন্তু এ সম্বন্ধে কাহাকেও বিন্দুমাত্র কোন কথা বলি নাই। পনের দিন পরে জানিলাম, আশুবাবু, হরিনাথের উপর অগ্নিমূর্ত্তি হইয়াছেন। র্যাহাকে তিনি অত্যাদরে প্রশ্রিত করিয়াছিলেন, তাহার কথা শুনিলে তিনি ক্রোধে গর্জন করিয়া উঠেন। ঠিক কি ভাবে কি হইল, জানি না । কিন্তু হরিনাথ আমার কাছে যাহা বলিয়াছিলেন, তাহা তিনি নিশ্চয়ই আর কয়েক জনের কাছে না বলিয়া ক্ষান্ত হ’ন নাই,- কারণ তাহার চরিত্র ছিল সরল এবং সংযম-হীন । তিনি কটুক্তিগুলি পথে পথে ছড়াইয়া দিয়াছিলেন। ইহার পরে হরিনাথের যে অবস্থা দাড়াইল, তাহা প্রকৃতই শোচনীয়। তিনি কর্ত্তব্যে ক্রটী বশতঃ তঁহীর উচ্চপদচ্যুত হইলেন এবং অল্প পরেই টাইফয়েড জ্বরে কয়েকদিন ভুগিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। আশুতোষ তাহার পুত্রগণের প্রতি সদয় ব্যবহার করিয়াছিলেন। এই একান্ত মহামনা পুরুষবারের গুণমুগ্ধ অনেকে ছিলেন, যাহারা চিরকাল তঁহার প্রতি অচ্ছেদ্য অনুরাগ ও বন্ধুত্ব দেখাইয়াছেন। ওকেনালী, গ্রিভস, মন্মথ মুখুজে প্রভৃতি হাই-কোর্টের জজ গণ-কারমাইকেল,