সন্ধানের প্রয়োজন হইল। সেই তালার যদি দুইটী চাবি থাকে, তাহা হইলে অপর চাবিটী কোথায়? ওয়ার্ণারকে জিজ্ঞাসা করায়, সে সন্দেহও মিটিয়া গেল। তিনি কহিলেন, সেই তালার চাবি দুইটী আছে, একটী সর্ব্বদা ব্যবহৃত হয়, অপরটী যে স্থানে তিনি থাকেন, সেইস্থানে একটী বাক্সের ভিতর আছে। এই কথা শুনিয়া ওয়ার্ণারের বাসায় গমন করিলাম। তিনি একটা বাক্সের ভিতর হইতে সেই চাবিটী বাহির করিয়া আমাদিগকে দেখাইলেন। বহুদিবস ব্যবহৃত না হওয়ায়, উহার অঙ্গ ময়লায় পূর্ণ হইয়া রহিয়াছে। দেখিবামাত্রই বোধ হইল, এই চাবির দ্বারা এই তালা খোলা হয় নাই। এই সকল অবস্থা দেখিয়া মনে কেমন একরূপ সন্দেহের উদয় হইল। রাত্রিকালে সেই ঘাটিতে যে পাহারাওয়ালাদ্বয়ের পাহারা পড়ে, তাহাদিগের উভয়কেই গোপনে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করায়, তাহাদিগের মধ্যস্থিত একজনের নিকট হইতে জানিতে পারিলাম যে, রবিবার রাত্রি চারিটার সময় সে সদর দরজার সেই তালা দেখিয়াছে, তখন উহা খোলা ছিল না। সে আরও কহিল, সেই সময় যে জমাদারের ‘রাউণ্ড’ ছিল, সেও সেই তালা তাহার সম্মুখে টানিয়া দেখিয়াছে, তখন সেই তালা খোলা ছিল না, বন্ধ ছিল। পাহারাওয়ালার কথা শুনিয়া রবিবারে যে জমাদার সেই তালা টানিয়া দেখিয়াছিল, তাহাকে তখন ডাকাইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম। দেখিলাম, সেও সেই পাহারওয়ালার কথার পোষকতা করিল।
পাতা:ইংরেজ ডাকাত - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১১
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮
দারোগার দপ্তর, ৩৩ম সংখ্যা।